বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেদিনই রাজ্যের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে হাসিমুখে বৈঠক করতে দেখা যায় তাঁদের। বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বিষয়টিকে নেহাত ‘সৌজন্য’ বললেও তা মানতে নারাজ দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদকে নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ।
দিলীপকে (Dilip Ghosh) নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি-আরএসএস?
এপ্রিল মাসে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন আজীবন আরএসএসের ভাবাদর্শে দীক্ষিত দিলীপ ঘোষ। এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাসিমুখে বৈঠক। বর্তমানে এই নিয়ে তোলপাড় বাংলা। এই প্রেক্ষাপটে সামনে আসছে বেশ কিছু খবর।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দিঘা সফরের পরেই তাঁকে নিয়ে আলোচনায় বসে বিজেপি ও আরএসএস (RSS)। শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও আরএসএসের যৌথ সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার এই নিয়ে আলোচনা করেন বলে খবর। সেখানেই নাকি দিলীপের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে অষ্টম! ঘাটালের মেধাবী ছাত্রকে ফোন করলেন দেব! কী বললেন TMC সাংসদ?
রিপোর্ট বলছে, আপাতত ঠিক হয়েছে, বিজেপির কোনও বৈঠক অথবা কর্মসূচিতে ডাকা হবে না মেদিনীপুরের সাবেক সাংসদকে! সেই সঙ্গেই তিনি যদি কোনও কর্মসূচি আয়োজন করেন, সেখানেও বিজেপির কোনও নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করতে পারবেন না! ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে বিজেপির সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এই বিতর্কের আবহে আগামী ৬ মে বিজেপির রাজ্যস্তরের একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে সুনীল বনসলের হাজির থাকার কথা। জানা যাচ্ছে, সেখানেও ডাক পাননি দিলীপ ঘোষ। প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কোনও কিছু জানানো না হলেও, তলে তলে এমনটাই হচ্ছে বলে খবর।
এখানেই শেষ নয়! সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দিলীপকে নিয়ে বর্তমানে বিব্রত বোধ করছেন আরএসএসের বাংলার নেতারাও। রাজ্যে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রান্ত প্রচারক জলধর মাহাত আপাতত বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে চান বলে খবর।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে পদ্ম নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি তাঁকে নিশানা করেছেন। পাল্টা দিয়েছেন দিলীপও। এই আবহে সামনে এল নয়া খবর! ছাব্বিশের ভোটের আগে এই ‘সমীকরণে’ কী বদল আসে আপাতত সেটা জানতে মুখিয়ে বাংলা।