বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নামে ও বেনামে সারা রাজ্যে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে বিপুল সম্পত্তির। পরিচিত মানুষদের চাকরি করে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কায়দায় অনুব্রত মণ্ডল যে রীতিমতো “তোলাবাজি” চালাতেন তা এখন স্পষ্ট সবার কাছে। এবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এলো।
দোকান, শপিংমল, বাড়ির জন্য বেআইনিভাবে ডোনেশন আদায় করার অভিযোগ উঠল বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ ডেভলপমেন্টের নাম করে টাকা তোলা হতো পুরসভার পক্ষ থেকে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বোলপুর পুরসভার এলাকা। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রায় নিত্যদিনই তৈরি হচ্ছে বাড়িঘর, দোকান বা শপিং কমপ্লেক্স।
আইন অনুযায়ী তার জন্য নিতে হচ্ছে পুরসভার অনুমতি। যার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয় পুরসভায়। কিন্তু অভিযোগ এর পাশাপাশি ডোনেশনের নাম করে কাঠা প্রতি ২ লাখ টাকা করে তোলা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে। অর্থাৎ পাঁচ কাঠা জমির জন্য পুরসভাকে দিতে হচ্ছে ১০ লক্ষ টাকা ডোনেশন!
উন্নয়নের জন্য তোলা টাকা জমা হয় পুরসভার তহবিলে। কিন্তু এই অতিরিক্ত ডোনেশন কি হিসেবে তোলা হচ্ছে? বিরোধী পক্ষের অভিযোগ বেআইনি ভাবে আদায় করা এই ডোনেশনের টাকা ঘুর পথে যেত অনুব্রতর কাছে। এমনকি সেই বেআইনি ডোনেশনের জন্য দেওয়া হত পুরসভার স্ট্যাম্প করা স্লিপও!
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের প্রধান লক্ষ্যই হল লুট ও তোলাবাজি। অবৈধ কাজকর্মকে সমর্থন দেওয়া। কেন্দ্রে মোদীজি আছেন। ভবিষ্যতে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়টি নিয়ে বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করা হলে তিনি উত্তর দেননি। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমর সেখ জানিয়েছেন, এই অভিযোগের সম্বন্ধে জানি না। খোঁজ নিলে বলতে পারব। বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র মদন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আমরা এটি জানি না। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।