বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার পুলিশকেই ধরে মারার নিদান দিলেন অর্জুন সিং। ‘নিরামিষ’ আন্দোলনের বদলে পুলিশ মারতে এলে তাদেরও পালটা পেটানোর কথাই সোমবার বলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। এদিন তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজেপির ডাকা ধর্মঘটে পথে নেমে এমনটাই বলতে শোনা গেল তাঁকে।
এদিন বাংলা বনধের সমর্থনে পথে নামেন অর্জুন সিং। সেখানেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নিরামিষ আন্দোলন করলে বাংলায় চলবে না। পুলিশ মারলে পালটা মারতে হবে। বাংলায় যে দল আন্দোলন করে তারাই টিকে থাকে। আন্দোলনকারীদের পাশেই থাকে বাংলার মানুষ’।
সম্প্রতি বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলকেও বলতে শোনা গিয়েছিল এই একই পুলিশ পেটানোর কথা। বুথ দখলে বাধা পেলে পুলিশদের পেটানোর কথাই বলেছিলেন কেষ্ট। এবার অর্জুন সিং এর এহেন মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠতে থাকে তবে কি অনুব্রত মন্ডলের পথেই হাঁটছেন অর্জুন সিং? যদিও এই তত্ত্বকে সসম্পুর্ণ অস্বীকার করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তাঁর দাবি, ‘অনুব্রত বুথ দখলের কথা বলেছিলেন। আমি সে কথা বলিনি। পুলিশ আমাকে আক্রমণ করলে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারে, জেলেও পুরতে পারে। কিন্তু লাঠি পেটা করতে পারে না।’ এই প্রেক্ষিতে অবশ্য পালটা হুঙ্কার ছেড়েছেন অনুব্রতও। তাঁর দাবি, অনব্রত একটি ‘ফালতু পাগল লোক, সেই কারণেই তাঁর কথা কেউ শোনে না।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নিজের ওয়ার্ডেই ভোট দিতে পারেননি অর্জুন সিং। ভাটপাড়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবার প্রার্থী হয়েছিলেন অর্জুন সিং এরই ভাইপো সৌরভ সিং। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় অর্জুনের পুরসভা দখলের স্বপ্ন। অর্জুন সিং এর রীতিমতো হাঁড়িতে ঢুকে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ঘোষ। তাঁদের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দেন সৌরভ সিং। ভাইপো সৌরভ এহেন ‘অসুরকুলে প্রহ্লাদ’ হয়ে ওঠায় খোদ অর্জুন সিং এর গড়েই স্থান হয়নি বিজেপির। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দিতেই পারেনি গেরুয়া শিবির।