বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশ একদিকে পার্টি আরেক দিকে। ভারতের (India) সঙ্গে চিনের (China) যতই বিরোধিতা থাক পার্টিগত ভাবে তো তাঁরা একই। কমিউনিস্ট দেশ (Communist Country) চিন। তেমনই ভারতের একমাত্র কমিউনিস্ট রাজ্য কেরল (Kerala)। ফের একবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। টুইটে পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) জানান, বিপ্লবী অভিনন্দন জানাই শি-জিনপিংকে (She Jinping)।
চিনের প্রেসিজেন্ট শি জিনপিংকে ‘বিপ্লবী অভিনন্দন’ জানিয়েছিলেন ভারতের এক মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই বিজেপির আক্রমণের কেন্দ্রে রইলেন কেরলের বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। চিনের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানানো প্রসঙ্গে বিজয়নের মন্তব্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে মনে করছে পদ্ম শিবির।
গত শুক্রবার তৃতীয় বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন জিনপিং। চিনের আইনসভা কোনও নির্বাচনী লড়াই ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে প্রেসিডেন্টের পদে অভিষিক্ত করেছে। আর তা নিয়েই টুইট করে জিনপিংকে অভিনন্দন জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকেই বিজয়ন রয়েছেন বিজেপি শিবিরের নিশানায়।
জানা যাচ্ছে, গতকাল সোমবার কেরল বিজেপির মুখপাত্র পি কে কৃষ্ণদাস জিনপিং-এর প্রশংসা করার জন্য সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেরলের মুখ্যমন্ত্রী কোচির ব্রহ্মপুরম বর্জ্য শোধনাগারে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে কথা বলেননি। তিনি গালওয়ান উপত্যকার কথাও ভুলে গিয়েছেন, যেখানে চিনা সেনার হাতে ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হন। বিজয়নের মন্তব্য সশস্ত্র বাহিনীর জন্য অবমাননাকর। ওঁকে অবশ্যই নিহত জওয়ানদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।’
কী এমন বলেছিলেন বিজয়ন? তৃতীয় বারের জন্য চিনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর একটি টুইটে বিজয়ন লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য বিপ্লবী অভিনন্দন জানাই। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। চিন বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের কণ্ঠ অনেক মজবুত। চিন যাতে আরও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে তার জন্য শুভ কামনা রইল।’