বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতির (BJP State President) পদ থেকে সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে অন্য কাউকে বসাতে পারে বিজেপি। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছিল বঙ্গ বিজেপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটের নাম। এই আবহে দুই রাজ্যের রাজ্য সভাপতি পাল্টে দিন পদ্ম শিবির।
বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি (BJP State President) কারা?
বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বিজেপির (BJP) তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সিপি জোশীর বদলে রাজ্যসভার সাংসদ মদন রাঠোরকে রাজস্থানের নতুন রাজ্য সভাপতি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সম্রাট চৌধুরীর বদলে বিহারের নতুন রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন দিলীপ জয়সওয়াল।
এই দুই রাজ্যের রাজ্য সভাপতি (State President) পরিবর্তনের পাশাপাশি অসম, ত্রিপুরা, চণ্ডীগড়, লাক্ষাদ্বীপ, তামিলনাড়ু এবং রাজস্থানে সাংগঠনিক পদেও বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। অসমের নতুন ইনচার্জ করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ হরিশ দ্বিবেদীকে। চণ্ডীগড়ের ইনচার্জ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সাংসদ অতুল গর্গের নাম। ত্রিপুরা এবং লাক্ষাদ্বীপের ইনচার্জ করা হয়েছে যথাক্রমে প্রাক্তন সাংসদ রাজদীপ রায় এবং অরবিন্দ মেনন। অন্যদিকে রাজস্থানের ইনচার্জ এবং সহ ইনচার্জ করা হয়েছে যথাক্রমে রাধামোহন আগরওয়াল এবং বিজয়া রহাটকরকে।
আরও পড়ুনঃ রাখির আগেই মেটানো হবে বকেয়া DA, তবে তিন কিস্তিতে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর
রাজস্থান এবং বিহারের নতুন রাজ্য সভাপতির (BJP State President) নাম ঘোষণা করলেও বঙ্গ বিজেপির সভাপতির পদে কোনও বদল করা হল না। এখনও সেই দায়িত্ব রয়েছে সুকান্ত মজুমদারের কাঁধে। পরবর্তীতে সেই দায়িত্ব অন্য কারোর হাতে তুলে দেওয়া হয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে অনেকের।
এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে, সিপি জোশী নাকি নিজেই রাজস্থানের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছিলেন। সূত্রের খবর, দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে নিজের মনের ইচ্ছা জানান তিনি। এর আগে রাজস্থানে বিজেপি সরকার গঠনের পরেও তিনি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন বলে খবর। তবে সেবার তাঁর আর্জি গৃহীত হয়নি।
এদিকে রাজনৈতিক মহল বলেছে, রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি (BJP State President) পরিবর্তন করে আদতে বিজেপিরই লাভ হয়েছে। কারণ ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপি জোশী রাজ্য সভাপতি হওয়ার কারণে দু’টি বড় পদেই ব্রাহ্মণ নেতারা ছিলেন। নতুন রাজ্য সভাপতি মদন রাঠোর রাজপুত। এবারের লোকসভা ভোটে রাজপুত এলাকায় ধাক্কা খেয়েছিল পদ্ম শিবির। ফলে মদনকে রাজ্য সভাপতি করায় দলেরই সুবিধা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।