একুশের ভোট (West Bengal Assembly Election 2021) আর দেরি নেই। তৃণমূল কংগ্রেস (tmc) যেমন এই মুহুর্তে তাদের সরকারের গত ১০ বছরের কাজকে জনগনের সামনে তুলে ধরছে। তেমনই সেই কাজের ত্রুটি তুলে ধরতে মরিয়া বিরোধী শিবিরও। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার রাজ্যের কর্মসংস্থান। সেই দুর্বলতাকে হাতিয়ার করেই বিপুল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি (bjp)। তবে এবার ঘরে বাইরে চাপের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হল তারা।
সম্প্রতি বাংলার শসক দল স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আয়ত্তায় বাংলার সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। অর্থাৎ এই কার্ডের সুবিধা পাবে বাংলার প্রতিটি মানুষ, এমন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কাজ চলছে জোরকদমে। অন্যদিকে মমতা জামানায় কর্মসংস্থানের আশা ক্ষীণ হওয়া বেকার যুবক যুবতীদের উদ্দেশ্যে ‘আর নয় অন্যায়, আর নয় বেকারত্ব’ কর্মসূচির সূচনা করেছিল বঙ্গ বিজেপি। নির্বাচনে জয়লাভের পর আগামী ৫ বছরে বাংলার ৭৫ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীকে কর্মসংস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘প্রতিশ্রুতি কার্ড’ বিলি করার ঘোষণা করে বিজেপি।
বাংলায় মমতার জামানায় বেকারত্ব সমস্যাকে বড় করে দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘বাংলায় বিগত কয়েক বছর ধরে শিল্প সম্মেলন হলেও বিনিয়োগ হয়নি। হওয়ার মধ্যে শুধু দেখা যাচ্ছে চপ শিল্প পরিণতি পেয়েছে। আর যেসব শিল্পগুলো ছিল, তা সবই সিন্ডিকেটরাজের চাপে পালিয়েছে’।
মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘বাংলার ৭৫ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীর কাছে আগামী ২ মাসের মধ্যেই পৌঁছে যাবে বিজেপির সদস্যরা। তাদের সকলের নাম ঠিকানা নথিভুক্ত করে রাখা হবে। বাংলায় বেকারত্বের সমস্যা দূর করতে একুশের নির্বাচনে জয়লাভ করেই, তাদের কর্মসংস্থান দেওয়া হবে।
সেই মতো বিলি শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রতিশ্রুতি কার্ডও। তবে এবার প্রবল সমালোচনার মুখে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসছে গেরুয়া শিবির। তারা জানিয়েছে, রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের সঠিক সংখ্যা জানতে সমীক্ষা করবে তারা।