বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার শিয়ালদা আদালতে আরজিকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। এই মামলায় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সোমবার দুপুরে তার সাজা ঘোষণা করা হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে আরও একবার নতুন মাত্রা পেতে চলেছে আরজিকর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। এবার আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল বিজেপি সমর্থিত একটি সংগঠন।
মিছিল করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল BJP সমর্থিত সংগঠন!
শুরু থেকেই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় এই আরজিকর মামলায় একা দোষী নয়। এই ঘটনায় আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলেই দাবি করে আসছেন তাঁরা। বিগত কয়েকদিনে এই বিষয়ে জুনিয়ার ডাক্তারদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। এবার তাঁদের সমর্থন করেই ওই মিছিলে অংশ নিতে চলেছে বিজেপি সমর্থিত একটি সংগঠন।
জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানাতে আগামী ২৪ জানুয়ারি কলেজ স্কোয়ার থেকে ডেরিনা প্রসিং পর্যন্ত মিছিল করতে চান তাঁরা। এই মিছিল করার অনুমতির জন্যই মামলা দায়ের করতে চেয়ে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ওই সংগঠনটি।
হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জাস্টিস ঘোষ ওই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে। প্রসঙ্গত কলকাতা পুলিশের পর এই মামলার তদন্ত নেমে সিবিআই অফিসাররাও চার্জশিটে একমাত্র দোষী হিসাবে উল্লেখ করেছেন সঞ্জয় রায়ের নাম। এই মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলাম’! RG Kar কাণ্ডে সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার আগে বড় দাবি মমতার
ধর্ষণ খুনের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে, ইতিমধ্যেই জামিন দিয়ে দিয়েছে আদালত। যদিও আরজিকরের আর্থিক বেনিয়মের মামলায় এখনও জেলবন্দী অভিযুক্ত সন্দীপ। শনিবার আরজিকর মামলায় সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’ লিফলেট ছাপিয়ে দাবি করেছে সঠিক বিচার পাওয়া যায়নি। তাঁদের দাবি এই মামলায় আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে।
জুনিয়ার ডাক্তাররা ওই লিফলেটে মোট কুড়িটি প্রশ্ন তুলেছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ প্রশ্নই রয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়ার ‘ফাঁক-ফোঁকড়’ নিয়ে। জুনিয়র ডাক্তারদের মতোই নির্যাতিতার পরিবারেরও একই দাবি। সোমবার শিয়ালদা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তাঁরাও দাবি করেছেন এই ঘটনায় সঞ্জয়ই একমাত্র দোষী বলে মনে করেন না তাঁরা। কোন প্রভাবশালীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে বলেই দৃঢ় বিশ্বাস তাঁদের।