বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি শিবিরে যোগদানের হাওয়া ছিল স্পষ্ট। বিশেষত, তৃণমূল ভেঙে অনেক পুরনো নেতাই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। দলবদল শুধু উপরতলায় হয়নি, হয়েছিল তৃণমূলের নিচু তলাতেও। যার জেরে নেতাদের অনুসরণ করে পদ্মফুলে যোগ দিয়েছিলেন একাধিক কর্মী সমর্থকও। কিন্তু ভোট মিথ্যেই পাল্টে গিয়েছে ছবি। বলা চলে পালা চলছে মোহভঙ্গের। একদিকে যেমন সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, সরলা মুর্মু থেকে শুরু করে একাধিক নেতা আবার তৃণমূলে ফেরার কাতর আবেদন জানিয়েছেন। তেমনি নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে মোহভঙ্গ ঘটেছে অন্তত এমনটাই দাবি রাজ্যের শাসকদলের।
আজও সেই সূত্র ধরেই ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন প্রায় ৫০০ বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগে। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে সুজাতা মন্ডল খাঁকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী মধুসূদন বাগই। কিন্তু নির্বাচন মিটতে অন্যান্য জায়গার মতই ভাঙ্গন ধরল আরামবাগেও। এদিন ফের একবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান প্রায় ৫০০ কর্মী। শুধু যোগদানই নয়, বিজেপিকে সমর্থন করার প্রায়শ্চিত্ত করতে নিজেদের মাথাও ন্যাড়া করে নেন তারা। এ বিষয়ে অবশ্য এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, “ভোটের আগে কর্মীদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন প্রত্যেকে ভুল বুঝতে পারছেন তাই ফিরে আসছেন। আর প্রত্যেকে স্বেচ্ছায় প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য ন্যাড়া হয়েছেন।”
যদিও দুই তরফের বক্তব্য সামনে না এলে আসল বিষয় বোঝা খুবই কঠিন। তবে কার্যত বিজেপির নিচতলায় যে ভাঙন শুরু হয়েছে এ ধরনের ছবি থেকেই তা স্পষ্ট। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপি নেতারা অভিযোগ করছেন, আদতে অনেক ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীদেরই ভয় দেখিয়ে দলে যোগদান করানো হচ্ছে। তবে আরামবাগে এখনও পর্যন্ত সে ধরনের কোনো অভিযোগ সামনে আসেনি।
ইতিমধ্যেই একদিকে যেমন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন মুকুল রায়, তেমনি অন্যদিকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা গঙ্গাপ্রসাদও। সুতরাং অন্দরে ভাঙন স্পষ্ট, যদিও ক্ষমা চাওয়া নেতাদের নিয়ে এখনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তৃণমূল। সূত্রের খবর অনুযায়ী ২১ জুলাইয়ের আগে এক্ষেত্রে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব।
ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’