সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে কিভাবে ভোটে জিতেছিল তৃণমূল, অনুব্রত গড়ে খোলসা করলেন শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার অনুব্রত-হীন বীরভূমে বিশাল জনসভা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একেই গরু পাচার মামলায় বাংলা ছাড়িয়ে দিল্লিতে তৃণমূলের কেষ্ট। অন্যদিকে, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হওয়ায় অস্বস্তিতে শাসকদল। এরই মাঝে এবার কেষ্ট গড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন জয় করতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি (BJP)।

গতকাল জেলা বিজেপির ডাকে বীরভূমের (Birbhum) মুরারইয়ের কেস্তারা ময়দানে জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এই মুরাই মূলত সংখ্যালঘু এলাকা হিসেবে পরিচিত। পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে প্রথমবার সংখ্যালঘু সমাবেশের করল গেরুয়া শিবির। আর সেখান থেকেই একের পর এক বার্তা দিতে শোনা গেল নন্দীগ্রামের বিধায়ককে।

ঠিক কী বললেন শুভেন্দু? এদিন কেষ্ট গড়ে দাঁড়িয়ে NRC ইস্যুতে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে বলে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “২০২১ সালে আপনাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। নইলে এখানে বিজেপি আসত। সংখ্যালঘুদের বলা হয়েছিল, বিজেপি এলে এনআরসি হবে। তাড়িয়ে দেওয়া হবে বাংলা থেকে। আপনারা বলুন, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ কত জন সংখ্যালঘুকে তাড়িয়েছেন? ২৭ বছর গুজরাতে রয়েছে বিজেপি। অসমে আমাদের সরকার রয়েছে। কত জন সংখ্যালঘুকে তাড়ানো হয়েছে?”

“সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস” নীতিকে সামনে রেখেই এদিন জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রকল্পই যে মুসলিমদের বাদ দিয়ে হয়নি, সেকথাই এদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বোঝানোর চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা। রবিবারের সভায় বিজেপি জেলা নেতৃত্ব সহ উপস্থিত ছিলেন বগটুই কাণ্ডে স্বজনহারা মিহিলাল শেখ।

suvendu bjp tmc

প্রসঙ্গত, বিজেপি যে সংখ্যালঘুদের বিরোধী নয়, শুধুমাত্র ভোটের কারণে তাদের শাসকদল ভুল বোঝায়, এই অভিযোগ আজকের নয়। সর্বদাই এমনটাই অভিযোগ করে এসেছেন বিরোধী দলনেতা। এবার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের জন্য জনসভার আয়োজন করা হয়েছে বিজেপি তরফে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রতহীন বীরভূম। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ময়দানে নেমে পড়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভোটপূর্বে বিজেপির মুরারইয়ের সমাবেশ যে বেশ তাৎপর্য এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর