বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার জন্য সবরকম প্রয়াস চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে বিজেপি। আর সেই ক্রমে বিজেপি উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) মডেলের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দুর্গে ধ্বস নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিহার আর হায়দ্রাবাদের নির্বাচনে যোগীর প্রচারের ব্যাপক সাফল্যের পর এবার বাংলাতেও ম্যারাথন প্রচারে আসছেন যোগী। করোনা মহামারীর মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কারা কাজ থেকে শুরু করে লাভ জিহাদ, দুর্নীতি, রাম মন্দির আর বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে মমতা সরকারকে ঘিরবেন যোগী আদিত্যনাথ।
বিজেপি সুত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীতির সাথে সাথে যোগী মডেলের মাধ্যমে মমতা সরকারকে উৎখাত করার প্ল্যান বানাচ্ছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির বরাবরই বাংলায় মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ করে আসছে। আর সেই কারণে ফায়ার ব্র্যান্ড হিন্দু নেতা যোগী আদিত্যনাথের ‘মিশন বাংলা” অভিযান অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
যোগী বিজেপির একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বিহারে নির্বাচনের প্রচার করেছেন। আরেকদিকে, নিজের রাজ্যে সাতটি বিধানসভার উপনির্বাচনও নিজের কাঁধে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি হায়দ্রাবাদের পুরসভা নির্বাচনেও প্রচার করেছিলেন যোগী। সেখানে তিনি হায়দ্রাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর করার কথা দিয়েহচিলেন তিনি। আর নির্বাচনে এর প্রভাবও পড়েছে। হায়দ্রাবাদ পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি বাম্পার প্রদর্শন করে ৪৮ টি আসন দখল করে নেয়। বিজেপির বাম্পার প্রদর্শনের কারণে AIMIM দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে।
এভাবেই বিহারে তৃতীয় দফার বিধানসভার নির্বাচনে ১৯ টি র্যালি করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। বিহারের নির্বাচনে যোগী অনুপ্রবেশকারীদের খেদানো থেকে শুরু করে ধার্মিক ফতোয়ার বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। যোগী সেখানে বিশেষ করে হিন্দু যুবকদের আকৃষ্ট করার কাজ করেছিলেন, আর সেটির প্রভাবও দেখা গিয়েছে। যোগী ১৭ টি জেলায় র্যালি করেছিলেন। ১৭ টি জেলায় বিহারের ৭৫ শতাংশ বিধানসভা আসন আসে। আর সেগুলোর মধ্যে ৫০ শতাংশ আসনে এনডিএ-এর প্রার্থী জয়লাভ করেছিল। যোগী স্ট্রাইকরেট বিহারে ৬৬ শতাংশ ছিল।
আর সেই ক্রমেই পশ্চিমবঙ্গে একই ভাবে প্রচারে নামছেন যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপির সুত্র অনুযায়ী, বিহারের থেকে অনেক বেশি র্যালি পশ্চিমবঙ্গে করবেন তিনি। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যকে বাংলার নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি নিঃশব্দে জেলায় জেলায় বিজেপির হয়ে প্রচার করে চলেছেন।