বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের ‘খেলা হবে” স্লোগান এখন জাতীয় স্লোগান হয়ে উঠেছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলি গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে এই স্লোগানের ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে উত্তর প্রদেশের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি ভোজপুরি ভাষায় ‘খেলা হই” স্লোগান শুরু করেছে। এছাড়াও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতিও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে ‘খেলা হবে” স্লোগান তুলেছেন।
বিজেপি বরাবরই এই স্লোগানের বিরোধিতা করে এসেছে। তাঁরা খেলা হবের পাল্টা ‘চাকরি হবে, শিল্প হবে, কর্মসংস্থান হবে” স্লোগান দিয়ে একুশের নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছে। তবে তাঁদের এই স্লোগান কাজে দেয়নি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট অধিবেশনের দিনে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে, এবার রাজ্যে ‘খেলা হবে” দিবস পালিত হবে।
খেলা হবে দিবস অথবা খেলা হবে প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল রাজ্যের ক্লাবে ক্লাবে ফুটবল বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা রাজ্যে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরেকদিকে, বিজেপি এবার এই স্লোগানের পাল্টা স্লোগান দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাল করেছে। সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে টুইটারে ‘khela_noy_chakri_chai” হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং করাচ্ছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘ক্লার্ক এবং আইসিডিএস মেন্সের রেজাল্ট অবিলম্বে প্রকাশ করুক সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদের তালিকা প্রকাশ করে জানানো হোক কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্তব্ধ। খেলায় মগ্ন সরকারের কাছে রাজ্যের ভবিষ্যৎ গৌণ। মৌন সরকারের উচিত দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়োগ চালু করা।” এরপর তিনি ‘khela_noy_chakri_chai” লিখেছিলেন।
ক্লার্ক এবং আইসিডিএস মেন্সের রেজাল্ট অবিলম্বে প্রকাশ করুক সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদের তালিকা প্রকাশ করে জানানো হোক কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্তব্ধ। খেলায় মগ্ন সরকারের কাছে রাজ্যের ভবিষ্যৎ গৌণ। মৌন সরকারের উচিত দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়োগ চালু করা।#khela_noy_chakri_chai
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) July 14, 2021
শুধু দিলীপ ঘোষই নন, বঙ্গ বিজেপির প্রতিটি নেতা, সাংসদ এবং বিধায়করা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে টুইটারে এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে একের পর এক পোস্ট করেছেন। এছাড়াও বিজেপির কর্মী, সমর্থকরাও একই ভাবে নেতাদের অনুসরণ করে এই হ্যাশট্যাগ প্রচার করেছেন। বিজেপির এই অভিযানে এটুকু স্পষ্ট যে, তাঁরা শুধু রাস্তায় নেমেই তৃণমূলকে আক্রমণ করে চুপ থাকতে চায় না, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে। বিজেপির এই হ্যাশট্যাগ টুইটারে কয়েক লক্ষ বার টুইট করা হয়েছে। যার জেরে, এটি ট্রেন্ডও করে।