বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ১০ তারিখ কর্ণাটকের (Karnataka) ২২৪টি বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। আজকে সেই রাজ্যে ভোট গণনা হচ্ছে। এবং সকাল থেকেই কর্ণাটকে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress)। এই রাজ্যে ম্যাজিক ফিগারও পার করেছে হাত শিবির।
গতবারের তুলনায় ৪০টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি এখনও জয়ী হয়েছে ১০টি আসনে। তাছাড়া ৫৪টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। ভোটের নিরিখে তারা ৩৫.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে এখনও পর্যন্ত। গতবারের তুলনায় তা মাত্র ১ শতাংশ কম। তবে আসনের নিরিখে তা গতবারের তুলনায় ৪০ কম।
দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য— অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গানার মধ্যে শুধুমাত্র কর্নাটকে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে সরকারে রয়েছে বিজেপি সমর্থিত এনআর কংগ্রেস। তাই কর্নাটক ছিল নরেন্দ্র মোদ-অমিত শাহদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটপ্রচারে বার বার কর্নাটকে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দুত্বের প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু অধ্যুষিত কর্নাটকে মোদি-কণ্ঠে বার বার ধ্বনিত হয়েছে রাষ্ট্রপ্রেম এবং উন্নয়নের কথা। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে কাজ করল না ‘মোদি-ম্যাজিক’। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্নাটকের ২২৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ১৩৪টিতে এবং বিজেপি মাত্র ৬৫টিতে।
কর্নাটকে সাম্প্রতিক অতীতে বড় কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নেই। তবে কর্নাটকের রাজনীতিতে হিন্দুদের দুটি প্রধান সম্প্রদায়, লিঙ্গায়েত এবং ভোক্কালিগাদের দ্বন্দ্ব বরাবরই প্রকট। সে দিকে নজর ছিল বিজেপির। লিঙ্গায়েতদের কিছুটা সমর্থন বিজেপির পক্ষে ছিলই। কিন্তু ভোক্কালিগাদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব বেশ কম। ভোটের প্রচারে হিন্দুত্বের তাস না খেললেও হিন্দুত্ববাদীদের মন পেতে চেষ্টার কসুর করেনি বিজেপি। তার বড় উদাহরণ হল গত বছরের হিজাব-বিরোধী আন্দোলন।
এই আন্দোলনে পদক্ষেপ করতে হয়েছে আদালতকে। এবং শেষ পর্যন্ত কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ হয়। শুধু তাই নয়, কর্নাটকে হালাল মাংস বিক্রি নিষিদ্ধের দাবিতে ২০২২ সালে শোরগোল শুরু হয়। শ্রীরাম সেনা, বজরং দল, হিন্দু জাগরণ বেদিকের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবির পর কর্নাটক বিধানসভায় বিল আনারও প্রস্তুতি নেয় বিজেপি সরকার।