নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া, তো অন্যদিকে বাংলার মসনদে বসতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ২১-র সেই নির্বাচনী লড়াইয়ে একে অপরকে আক্রমণের প্রেক্ষিতে কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র জায়গা ছাড়তে নারাজ। তাই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) মন্তব্য করেন, ‘নবান্নের চোদ্দ তালা থেকে বাংলায় স্বৈরাচারী শাসন চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা (Mamata) । তাই বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে নীল রঙের নবান্ন নয়, লাল রঙের রাইটার্সই হয়ে উঠবে রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর।’
এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে বাংলাজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। রাজনৈতিক মহলের মতামত, বাংলার মানুষের আবেগ স্পর্শ করতেই এমন মন্তব্য বিজেপির। শমীক মঙ্গলবার জানান যে, ‘ রাইটার্স বিল্ডিং ( Writers Building ) এর সাথে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে আছে, বিনয়-বাদল-দীনেশ মার্গের এই ভবন থেকেই বাংলার শাসন ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। এই ভবনের ঐতিহ্য তাই বহুদিনের।’ বাংলায় গেরুয়া শিবির ক্ষমতা দখল করলেই মহাকরণেই হতে চলেছে সচিবালয়।
উল্লেখ্য, বাংলায় তৃণমূল ২০১১ সালে সরকার গঠন করলে, সেই সময়ও রাইটার্স ছিল রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর, তবে ২০১৩ সালে রাইটার্স বিল্ডিং সংস্কারের কারণ দেখিয়ে নবান্ন ( Nabanna ) স্থাপন করে মমতা সরকার। যদিও তখন পুনরায় এই সচিবালয় রাইটার্সে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা থাকলেও, আদপে টা আর হয়নি। লাল রঙের বিল্ডিং টির দিকে পুনরায় ফিরেও তাকায়নি তৃণমূল সরকার।
এদিন, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে, রাজ্যে রাইটার্স বিল্ডিং থেকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন বিজেপি ( BJP ) মুখমাত্র। তবে গত আট বছর ফিরে না তাকানো, লাল রঙের রাইটার্স বিল্ডিং আজ ‘ভুতুড়ে বাড়িতে’ পরিণত হয়েছে। তবে ঐতিহাসিক ভাবে যেহেতু এই রাইটার্সের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। তাই বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলেই লাল রঙের ‘ভুতুড়ে বিল্ডিংটি’ হয়ে উঠতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় বলে জানান শমীক ভট্টাচার্য।