বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ এনে প্রতিবাদে এদিন সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে বিজেপি। সকাল ৭ টা থেকে রাজ্যজুড়ে চলছে ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘট। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে এল বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার ঘটনা।বিজেপির ১২ ঘন্টার বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু বনধ প্রতিরোধে অনড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের কাছে ধর্মঘট সফল করার দাবিতে চলতে থাকে পিকেটিং এবং অবস্থান।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে রীতিমতো হাতাহাতি এবং ধস্তাধস্তি বাঁধে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে। শেষমেশ একপ্রকার চ্যাঙদোলা করে বিক্ষোভকারীদের সরায় পুলিশ। শিলিগুড়িতেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি লাগে পুলিশের। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সকাল আটটা থেকেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তিনি।
অন্যদিকে হুগলী স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে ডাউন বর্ধমান লোকাল। চরম হয়রানির শিকার হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। অবশেষে পুলিশ এবং রেলপুলিশের বহুক্ষণের চেষ্টায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় পরিস্থিতি। কোচবিহারে ধর্মঘট সফল করতে রাস্তায় নামেন খোদ বিধায়ক। এদিন সকাল থেকেই পথে নেমে অবরোধ চালাতে থাকেন বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাসও আটকে দেন তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলা হয় বিধায়কের সঙ্গে। অবশেষে বাসটি ছেড়ে দেন ওই বিজেপি নেতা। বাসটিকে ছেড়ে দিলেও তিনি অবশ্য বলেন, ‘পুরভোটে পুরোটাই ভোট লুঠ হয়েছে। এর জবাব মানুষ দেবেই।’
অন্যদিকে এখনও অবধি ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়েনি কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার সব আরও একাধিক এলাকায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন সরকারি দপ্তরে কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে নবান্ন। কলকাতার রাস্তায় বাস অন্য দিনের থেকে সামান্য কম হলেও স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন। চলছে সমস্ত সরকারি পরিবহনই। একই ভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও। সকাল থেকেই স্বাভাবিক ভাবে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ।
সরকারি বাসের পাশাপাশি চলছে বেসরকারি বাসও। আলিপুরদুয়ারে কোথাও দেখা নেই কোনও বিজেপি কর্মীর। বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি কাউকেই। পরিস্থিতিও একেবারেই স্বাভাবিক সেখানে। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন সকাল ১০ টায় আনিস হত্যা মামলায় পথে নামছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ফলে সব মিলিয়ে বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার পাশাপাশি বড় ধরনের গণ্ডগোলের সম্ভাবনাও রয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।