বাংলাহান্ট-আজ থেকে চার বছর আগে কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি করা হয় দিলীপ ঘোষকে কারণ একাধিকবার রাজ্য সভাপতি দায়িত্ব সামলেছেন রাহুল সিনহা কিন্তু কোন উত্থান না হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তাকে জবাবদিহি করতে হয়েছে একাধিক বার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গলমহলের ছেলে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করে কেন্দ্র বিজেপি তারপর রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে দেয় এই লড়াকু নেতা।
দিল্লি থেকে প্রথমে তাকে বুথে বুথে কর্মী তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই প্রক্রিয়া সফল হতেই চলে আসে বিধানসভা নির্বাচন, সেই নির্বাচনে খড়গপুর থেকে লড়াই করতে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে অবশেষে জয় এবং বাংলায় তিনটি বিধানসভা সভায় বিজেপি জয় হয়।
তারপর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে সেখানে ২৩ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিজেপি লড়াই করে নতুন সমীকরণের কথা মাথায় রেখে বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার মাটি আঁকড়ে ধরে লড়াই করতে থাকে। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে অবশেষে ২০১৯ এ ১৮টি আসন পায় বিজেপি।
তারপর একটা সময় দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানানো হয় কিন্তু দিলীপ ঘোষ ইচ্ছা প্রকাশ করেন, বাংলার জন্য কাজ করবেন সেই মতো তিনি প্রতিটি ব্লকে ব্লকে ঘুরতে শুরু করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতৃত্ব তার বিষয়ে আরেকটি খুশি হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিপুল পতনের পর তিনি দিদিকে বলো একটি কর্মসূচি নিয়েছে অর্থাৎ মানুষের কাছে জনসংযোগ জনসংযোগ টেক্কা দিতে ফের চা পে চর্চা শুরু করেছে দিলীপ ঘোষ।
যেখানে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে ছিলেন সেখানেই দিলীপ ঘোষ এক সপ্তার মধ্যে এবং মানুষের সাথে গণসংযোগ করলেন দিঘাতে। আজ কলকাতার একটি হলে মিটিং চলছে সেখানে আলোচনা হবে কি করে বাংলায় আগামী দিন তৃণমূলের সাথে লড়াই করা যায়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হবে বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে। ঘেষনা হবে দিলীপ ঘোষের নাম কিন্তু এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।