পুরভোটে তৃণমূলী সন্ত্রাস, ১২ ঘন্টার বন্ধ ডেকে সোমবার রাস্তায় বিজেপি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রবিবার রাজ্যে ছিল পুরসভা নির্বাচন। সারাদিন ধরে চলে ১০৪ টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ। তবে সকাল থেকেই চারিদিক থেকে তৃণমূলের নামে উঠতে থাকে অভিযোগ। অভিযোগ সুস্থ, সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট করার বদলে ছাপ্পা এবং সন্ত্রাস করেছে রাজ্যের শাসকদল। এর প্রতিবাদে রাজ্যে সোমবার ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘট ডাকল বিজেপি।

এদিন বিজেপির তরফে জানানো হয় বিকেল ৪ টে নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন কর হবে। এরপর জানানো হয় ৪টের বদলে ৫ টা থেকেই হবে সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানেই তৃণমূলের ছাপ্পা, সন্ত্রাস,ইত্যাদির অভিযোগ এনে আগামীকাল বাংলা ধর্মঘটে ডাক দেয় বিজেপি। একই সঙ্গে প্রতিবাদে কাল পথে নামছেন রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা। সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি জানায় ‘রবিবার পুরভোটে যে নির্লজ্জ প্রহসন ঘটিয়েছে শাসকদল এবং প্রশাসন তা নজিরবিহীন।’ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসকেও ছাড়িয়ে গেছে এদিনের সন্ত্রাস এমনটাও দাবি করেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির।

পুরভোটে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পুরভোটে হিংসা সম্পর্কে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিনি সোজা তলব করেছেন রাজভবনে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেটা হওয়ার ছিল সেটাই হচ্ছে। আমাদের দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক মহিলা প্রার্থীকে বুথের ভিতর ঢুকে মারধর করা হয়। একই মানুষ ঘুরে ঘুরে সব জায়গায় ভোট দিচ্ছেন। এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দলের এজেন্টরাই মার খেয়েছেন। হাইকোর্ট শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলছিল। সুপ্রিমকোর্টের নজর ছিল এই পুলিশের উপর। এবার তারাই চিন্তা করুক।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সকাল থেকেই রণক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি। গোটা রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় অভিযোগ। প্রতিটি অভিযোগেই তীরে বিদ্ধ শাসকদল। কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ, কোথাও বিরোধী প্রার্থীকে বুথে ঢুকতেই বা ভোট দিতেই না দেওয়া, বিরোধীদের মারধর, কোথাও আবার বহিরাগত দিয়ে বুথ জ্যাম। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্বিকার থেকেছে পুলিশ। কোনও সক্রিয় ভূমিকাই নেয়নি তারা। সমস্ত কিছুর প্রতিবাদেই কাল রাস্তায় নামবে রাজ্যের গেরুয়া শিবির।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর