বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোয়ায় (Goa) পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2022) বিরাট জয় পেল বিজেপি (BJP)। সে রাজ্যের ১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৪০টি আসনই দখল করেছে পদ্ম-শিবির। গোয়ার মানুষ একেবারে নিরাশ করেনি তৃণমূলকেও (AITC)। পঞ্চায়েত ভোটে খাতা খুলেছে ঘাস-ফুল শিবিরও। গোয়া দক্ষিণের নেত্রাবলী জেলা থেকে জিতেছেন রাজ্য তৃণমূলের নেত্রী রাখি নায়েক।
গত ১০ অগস্ট রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার ৯৭টি ও দক্ষিণ গোয়া জেলার ৮৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১,৪৬৪টি আসনে নির্বাচন হয়। ভোট পড়ে প্রায় ৭৯ শতাংশ। নির্বাচনের আগেই উত্তর গোয়ায় ৪১ এবং দক্ষিণ গোয়ায় মোট ২৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভোট গণনা। দেখা যায় বিপুল ভোটে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। প্রায় হাজার আসন দখল করেছে পদ্ম শিবির। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত বিজেপির বিপুল জয়ের জন্য গোয়াবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গোয়ার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সদানন্দ শেট বলেন, ‘নির্বাচনের এই ফলাফলই প্রমাণ করল গত বিধানসভা ভোটের তুলনায় আমাদের প্রতি মানুষের সমর্থন অনেকটাই বেড়েছে।’ গত ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা ভোটে গোয়ার মোট ৪০টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয়লাভ করে শাসন ক্ষমতা দখল করে বিজেপি।
জয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন যে বিজেপি ও তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখার জন্য গোয়ার মানুষের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। গোয়ার প্রত্যন্ত গ্রামীন মানুষও বিজেপিকে সমর্থন করেছে। যেভাবে রেলের ডবল ট্র্যাক, কয়লা ইস্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধী ও এনজিওরা সরকারকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিল, এই ফল তাদের মুখে সজোরে থাপ্পড়ের সমান।
পাশাপাশি এই নির্বাচন বেশ কিছুটা আশার আলো দেখাল তৃণমূল শিবিরেও। গোয়ার বিধানসভা ভোটে দাঁত ফোটাতেও পারেনি তৃণমূল। অরদিকে ত্রিপুরাতেও ভরাডুবি হয় তাদের। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে তৃণমূলের ‘সর্ব ভারতীয়’ তকমা নিয়েও। এত কিছুর মধ্যে তৃণমূল গোয়ার পঞ্চায়েত ভোটে খাতা কিছুটা অক্সিজেন পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।