বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। তার আগেই একের পর এক ঘটনায় রীতিমতো নাজেহাল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এই আবহেই এবার ঘাসফুলের অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়াল গেরুয়া শিবির। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি (BJP)।
জানা গিয়েছে, সোমবার তলবি সভায় বিরোধী দল তৃণমূল বা সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না। তাই বিরোধী শুন্য তলবি সভার প্রধান হন বিজেপির রিস্তারা সংসদের সদস্যা চন্দনা পাহান। প্রসঙ্গত, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদটি মহিলা প্রার্থীদের জন্যে সংরক্ষিত। কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত কারণে ডাঙা পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন মল্লিকা কর্মকার সুত্রধর। এরপর অস্থায়ী ভাবে পঞ্চায়েতের কাজ সামলাচ্ছিলেন উপপ্রধান।
তবে সোমবার স্থায়ী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর উচ্ছাসিত বিজেপি। পদ পাওয়ার পর নতুন পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনা পাহান বলেন, “আগের যিনি পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন তিনি অনেক কাজই করেনি। আজকে আমি প্রধানের পদে বসলাম। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে যে কাজগুলি বাকি রয়েছে, সেই কাজগুলি করব৷”
প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২০ টি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার মধ্যে ১১ টি পায় বিজেপি। তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ৬টি ও বামেরা পায় তিনটি আসন। প্রথমে মল্লিকা কর্মকারকে প্রধান কড়া হলেও কিছুদিন পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ করে দল। বিজেপির অভিযোগ ছিল তৃণমূলের কথা মতোপঞ্চায়েতের কাজ চালাচ্ছিলেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। যার ফলে পঞ্চায়েতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকার পরও ক্ষমতা হাতছাড়া হচ্ছিলো বিজেপির।
এরপর গত ফেব্রুয়ারী মাসে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হঠাৎই পদত্যাগ করেন মল্লিকা কর্মকার। সোমবার তার বদলে নয়া দায়িত্ব পেল বিজেপির চন্দনা পাহান। অন্যদিকে, জয় প্রসঙ্গে পালটা বিজেপিকেই একহাত নিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, পঞ্চায়েত ভোট দোরগোড়ায়, এলাকার উন্নয়নকে স্তব্ধ করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। তবে নির্বাচনের আগে স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা কোনোও উন্নয়ন করতে পারবে না।