বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিরাট জয় বিজেপির (BJP)। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) গড়ে নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভেটুরিয়া সমবায়ের নির্বাচনে ১১টি আসনের ১১টিতেই জয় পেল গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই জয় পদ্ম শিবিরে অক্সিজেনের যোগান দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত, সমবায় নির্বাচন ঘিরে রক্তাক্ত হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বিজেপি। উল্টে তাদের কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিস বাহিনী।
গত শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন পারিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। সমবায় সমিতিতে মোট ১২ টি আসন রয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ১২টি আসনেই প্রার্থী দেয়। বিজেপিও ১২ টি আসনে প্রার্থী দেয়। অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে বিজেপি একজন প্রার্থীকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। এই নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল নন্দীগ্রাম। সকাল ১১ টা নাগাদ বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও তোলে। দুই পক্ষের মোট ১০ জন আহত বলে জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের গুরুতর জখম ৫, বিজেপির আহত ৫ জন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। বিজেপি নেতা মেঘনাথ পালের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে।’ অপরদিকে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা বটকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘সমবায় নির্বাচন নিয়ে গতকাল রাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত জমা করেছে। আমাদের বেশ কিছু কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে। ভোটারদের কেন্দ্রে ভোট যেতে দিচ্ছে না। আমাদের একাধিক কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অনেক ভোটার ভোট দিতে পারছে না রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।’