বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে যাদবপুরে (Jadavpur) জলের জোগান দিতে জেনারেটর ভাড়া করল ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সদস্যরা। নিজেরদের গ্যাঁটের টাকা খরচা করে, এলাকাবাসীকে জলকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে নিজে থেকেই এগিয়ে এল গেরূয়া বাহিনী। সাধুবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)।
আমফান পরবর্তী অবস্থা
প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাংলার এক বিরাট অংশ। এখনও বেশ কিছু এলাকার মানুষ জলমগ্ন রয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে গাছ, ক্ষতি হয়েছে বাড়ি এবং ফসলেরও। কোথাও আবার নতুন করে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ সারাতে উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। কিন্তু এসবের মধ্যেও এখনও বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি বিদ্যুৎ এবং জলের পরিষেবা। তেমনই বেশ কয়েকটি লাইটপোস্ট ভাঙ্গার দরুণ টানা ৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে যাদবপুরের পূর্বাচল এলাকায়।
সমস্যায় আছেন যাদবপুরবাসী
কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওর্য়াডের পূর্বাচল অঞ্চলের আমরা সবাই ক্লাবের সামনে কালিদাসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমিতে থাকা কলকাতা পুরসভার জলের পাম্প থেকে পূর্বাচল মেন রোড, সাউথ পূর্বাচল রোড, মহাত্মা গান্ধী রোড, বিধান রোড, সুকান্ত সরণী, লালবাহাদুর শাস্ত্রী রোড সহ বেশ কিছু জায়গার বাসিন্দারা জলের জোগান পান। কিন্তু ঝড়ের ফলে একটি বড় গাছ বিদ্যুতের তাঁর সহযোগে উপড়ে যাওয়ার ফলে পাম্পটি নষ্ট হয়ে যায়। যার জেরে বিদ্যুৎ এবং জলও কষ্টে ভুগছেন এলাকবাসী।
বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই পাম্প চালানোর সিদ্ধান্ত নেন
বিদ্যুতের অভাবে এলাকায় জলও কষ্টের কারণে স্থানীয় বিজেপি কর্মী মনোজ দাস জানান, ‘ঝড় পরবর্তীতে বার বার সিএসসি ও কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও যখন কোন কাজ না হয়, তখন আমরাই ঠিক করি পুরসভা জলের পাম্পটি ফের চালু করতে হবে। সেই মতো শনিবার আমাদের অঞ্চলের বিজেপি নেতা গোবিন্দ দাস এলাকার সমাজসেবি ও ব্যবসায়ী ভোলা পাইককে অনুরোধ করে একটি সাউন্ড প্রুফ জেনারেটারের ব্যবস্থা করে আনেন। পুরসভা ও কাউন্সিলার মধুমিতা চক্রবর্তীর কাছে ফোন করে আমরা মৌখিক অনুমতি নিয়ে নিই। তারপর রবিবার সকাল থেকে আমরা জেনারেটারের মাধ্যমে পাম্পটি চালাতে সক্ষম হই’।
প্রশংসা করলেন দিলীপ ঘোষ
বিজেপির রাজ্যসভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবিষয়ে বলেন, ‘ আমাদের কর্মীরা বর্তমানে সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। যেখানে প্রশাসনের পাত্তা নেই, কাউন্সিলরকে পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে বিজেপি কর্মীদের এই কাজকে অভিনন্দন জানাই। শুধু যাদবপুর নয়, গোটা রাজ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের কর্মীরা পথে নেমেছেন। আমি নিজেই কর্মীদের সাথে হাত মিলিয়ে সল্টলেকে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করেছি। তৃণমুল এর যোগ্য জবাব ঠিক সময় পাবে’।
নিজেদের অর্থ দিয়েই চালাচ্ছে পাম্প
জেনারেটরের ব্যবস্থা করে স্থানীয় বিজেপি নেতা গোবিন্দ দাস জানান, ‘বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে পাড়ায় পাড়ায় অবরোধ না করে আমরা নিজেরাই সমাধান রাস্তা বের করি। নিজেরাই গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কার করি। বর্তমানে জলের কষ্ট মেটাতে ৬৫ কেভি জেনারেটার বসিয়ে দিনে তিনবার করে পাম্প চালানো হচ্ছে। আবার প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দিচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি, শঙ্কু , গৌতম, পটু, সঞ্জয়রা। আমরা নিজেরাই প্রতিদিন ২ হাজার টাকার ডিজেল কিনে পাম্প চালাচ্ছি’।