মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন গ্রহণ করল বিধানসভার অধ্যক্ষ

 বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জল্পনা শুরু হয়েছিল নির্বাচনের সময় থেকেই। নির্বাচনের সময়ই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শুভেন্দুর মত মুকুল ততটা খারাপ নয়। তার এই মন্তব্য থেকেই শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের দলবদলের জল্পনা। অবশেষে নির্বাচন শেষ হতে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা থেকে ভোটে জেতা সত্বেও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন রায় সাহেব। .

তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, এই দল ত্যাগ আইন মেনে হয়নি। তাই দুমাস হোক তিন মাস হোক বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিধানসভায় দলত্যাগ বিরোধী আইন পাশ করাবেনই তিনি। অর্থাৎ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ করবে বিজেপি, তাই একপ্রকার বুঝিয়েই দিয়েছিল তারা।

অবশেষে সামনে এলো সেই দিন, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য চিঠি পাঠাল বিজেপি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই চিঠি পাঠানোর কথা ছিল বৃহস্পতিবারই। কবে রিসিভিং সেকশন বন্ধ থাকায় এবং চিঠিতে কিছু ভুল থাকায় শেষ পর্যন্ত তার শুক্রবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুভেন্দু অধিকারী এও জানিয়েছিলেন যদি রিসিভিং সেকশন বন্ধ থাকে তাহলে অধ্যক্ষকে মেইল করা হবে এই আবেদন। চিঠিতে বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে, “যত দ্রুত সম্ভব মুকুল রায়ের বিজেপি বিধায়ক পদ খারিজ করার আরজি জানাচ্ছি।” শুধু তাই নয় দলীয় সূত্রে খবর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদও ত্যাগ করেননি মুকুল। আর এই কারণে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন শুভেন্দু।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা থেকে ৩৫০৮৯ ভোটে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানিকে পরাজিত করেছিলেন মুকুল রায়। প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেবার পরে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির বিধায়ক পদ খারিজ হওয়ার ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেই মর্মেই এবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাল বিজেপি। যদিও এও শোনা গিয়েছে যে মুকুল রায়ের জন্য রাজ্যসভার পদ ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূল তরফে। এছাড়া আগামী দিনে তাকে রেখেই সর্বভারতীয় দল হিসেবে নিজেদের বিস্তৃতি আরও বাড়াতে চলেছে তৃণমূল। এমতাবস্থায় সমীকরণ এখন কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর