বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। রোজই প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ করে মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। তবে দীর্ঘ ৪৫ দিন পর করোনার মামলায় কিছুটা রাশ টানা সম্ভব হয়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও কম মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিকে গোটা দেশে যেমন ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চলছে, তেমনই বেশীরভাগ রাজ্যে এখন লকডাউনের পালা চলছে।
পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের প্রথম পর্ব শেষ হচ্ছে রবিবার। এরপর আবারও ১৫ দিনের লকডাউন জারি করা হয়ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। প্রথম লকডাউনে সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পেলেও এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে করোনা। বিশেষ করে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে সংক্রমণের সংখ্যা একটু বেশি। আর সেই কথা মাথায় রেখে মাস্ক ATM চালু করল বিজেপির যুব মোর্চা।
দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই মাস্ক এটিএম পরিষেবা শুরু করেছে বিজেপির যুব মোর্চা। এই মাস্ক এটিএম থেকে বিনামূল্যে মাস্ক সংগ্রহ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) এই বিষয়ে বলেন, ‘করোনা সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি। দুঃস্থদের খাবার, মাস্ক স্যানিটাইজার বিলি করেছি আমরা।”
সৌমিত্র খাঁ জানান, ‘শুধু মাস্ক, স্যানিটাইজারই না আমরা নানারকম ওষুধ এবং অসহায়দের খাবারেরও বন্দোবস্ত করেছি।” তিনি বলেন, ‘ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা যারা রাজ্য সরকারের থেকে ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না, আমরা তাঁদেরও খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছি। এছাড়াও আমাদের কর্মীরা রক্তদান থেকে শুরু করে অক্সিজেনেরও বন্দোবস্ত করছেন।”