বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক কুরুচিকর ঘটনার সাক্ষী বর্ধমান। দলীয় কর্মীর (BJP Worker) স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার (Rape) অভিযোগ উঠল বিজেপি যুব মোর্চার (BJP Yuba Morcha) জেলা সভাপতি পিন্টু ওরফে পূরব সাম ও জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) শক্তিগড় এলাকায়। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি সেই বিজেপি কর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর পাশাপাশি কর্মী, শ্বশুর ও স্ত্রীকে মারধরের মত বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বিজেপি যুব মোর্চা নেতার বিরুদ্ধে।
ঠিক কী ঘটেছিল? অভিযোগকারী বিজেপি কর্মী কেশব কোনারের অভিযোগ, গত রবিবার বিজেপির দুই নেতা পূরব সাম ও দেবজ্যোতি সিংহ রায় সহ মোট পাঁচজন রাত তাঁর বাড়িতে আচমকাই হানা দেয়। এরপর কেশবকে মারধর শুরু করেন। সাথে মজুত ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তাঁদের বাধা প্রদান করলে বাড়িতে উপস্থিত ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রী ও শশুরকেও মারধর করা হয়। এমনকি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার মতোও বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।
কুরুচিকর এই ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত যুব মোর্চার বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দলের কর্মী কেশব। পাশাপাশি, কেশববাবু জানান তাঁর শরীর ভালো না থালাও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রতিবাদী লেখা লেখেন।
এদিকে গোটা ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত দেবজ্যোতির পালটা দাবি, ‘কেশব কোনার তাঁর নিজের তিনটি ফেসবুক প্রোফাইল ও তিনটি ফেক ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে দলের বিভিন্ন পদাধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন পোস্ট করেন।’
তাঁর সংযোজন, ‘দলের সাংসদের বিরুদ্ধেও একইভাবে পোস্ট করেছেন তিঁনি। ওনাকে একাধিকবার এই বিষয়ে সতর্ক করা হলেও তিঁনি শোনেননি। আমরা কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম বলার জন্য। বাড়িতে যাওয়া মাত্র উনি ওনার চিকিৎসার জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা তা দিতে অস্বীকার করায় উনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে দেন। এই ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’