বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে ঘটেছে অপেক্ষার অবসান! বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপ ২০২৩-এর (ODI World Cup 2023) সময়সূচী প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)। ৪৬ দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্ট আরম্ভ হবে ৫ই অক্টোবর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে শেষ সংস্করণের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি দিয়ে আরম্ভ হবে টুর্নামেন্টটি।
এইবারের বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেন্সে থাকছে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচটি ইডেনে থাকলেও তা ব্যাঙ্গালোরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার একটি সেমিফাইনাল ছাড়াও ৫ই নভেম্বর ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৮শে অক্টোবর বাংলাদেশ বনাম যোগ্যতাঅর্জনকারী কোনও দেশ, ৩১শে অক্টোবর পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ এবং ১২ ই নভেম্বর ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি আয়োজন হবে কলকাতায়। যদিও ভারত সেমিফাইনালে উঠলে তারা মুম্বাইয়ে অর্থাৎ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম সেমিফাইনাল খেলবে। ইডেনের সেমিফাইনাল ম্যাচটি হবে ভারত বাদে অন্য তিন দলের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে। যদিও পাকিস্তান জানিয়ে রেখেছে যে তারা মুম্বাইয়ের মাটিতে কোন ম্যাচ খেলবে না। তাই কোনওভাবে যদি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের মুখোমুখি হয় সেক্ষেত্রে ওয়াংখেড়ের বদলে ইডেন গার্ডেন্স আয়োজন করবে সেই ম্যাচ।
গতবারে দেশের মাটিতে আয়োজিত ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতের কোনও ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি ইডেন। ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচটি কলকাতায় হওয়ার কথা থাকলেও পরে বিশেষ কারণবশত ম্যাচটি ব্যাঙ্গালোরে সরে যায়। কারণ তখনও ইডেন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। আর এই মুহূর্তে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বিসিসিআইয়ের সাথে যুক্ত নেই। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে যে ইডেন এতগুলি হাইভোল্টেজ ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব কিভাবে পেয়ে গেল!
এখানেই সৌরভকে কেন্দ্র করে নতুন সমীকরণের একটা আন্দাজ পাচ্ছে রাজনীতি ও ক্রিকেটে উভয় ক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মানুষরা। অনেকেই মনে করছে যে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ইডেনে এতগুলি ম্যাচ দেওয়া হয়েছে। সকলেই জানেন যে বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদে রজার বিনি থাকলেও বিসিসিআইয়ের মুকুটহীন সম্রাট হলেন অমিত শাহ পুত্র জয় শাহ। অপরদিকে সিএবির প্রধানের দায়িত্ব রয়েছেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তাকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালিয়ে দিয়ে এবার তার বিনিময়ে সৌরভকে বিজেপিতে চান শাহ পরিবার, এমনটাই দাবি করছেন অনেকে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে ২০২৪ সালে বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে বেশিরভাগই নিজেদের দখলে রাখার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। আর সেই নির্বাচনের আগে যদি কোনওভাবে সৌরভকে দলে নেওয়া যায় তাহলে ২০১৯ লোকসভা ভোটের ফলাফলকেও ছাপিয়ে গিয়ে আরও উন্নতি করার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে। যদিও বিজেপির অন্দরমহল থেকে এমন কোন সম্ভাবনার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বজায় রাখলেও কোনদিনও প্রকাশ্য রাজনীতিতে যোগ দেবেন এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন বারবার। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে এই যে তত্ত্ব বেরিয়ে আসছে তাকে পুরোপুরি অগ্রাহ্যও করা যাচ্ছে না।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা