বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে তফসিলি সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে বিজেপি (bjp) শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) থেকে শুরু করে অমিত শাহ- বিভিন্ন সময়ে ঠাকুরনগর ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সভা করার মধ্য দিয়ে তফসিলি সম্প্রদায়কে পদ্মমুখী করে তুলতে তৎপর হয়ে উঠেছে।
নির্বাচনী হিসেব বলছে, ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত বামেদের দখলে ছিল এই তফসিলি ভোট ব্যাঙ্ক। কিন্তু তারপর তৃণমূল আসার পর থেকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তফসিলি ভোট ব্যাঙ্কের সিংহভাগটাই তৃণমূলের ঝুলিতে পড়ত। তখন ৬৮টি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৪৯টি পেয়েছিল তৃণমূল, অর্থাৎ ৪৬.৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অন্যদিকে বাম কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৪০.২১ শতাংশ। কিন্তু বিজেপির ঝুলিতে ছিল মাত্র ৯.৯৩ শতাংশ ভোট।
তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই চিত্রে আমূল পরিবর্তন দেখা যায়। এই ভোট ব্যাঙ্ক বেশ কিছুটা ভাগ হয়ে আবার বিজেপির দিকে চলে আসে। ১৮টি লোকসভা আসনের পেছনে তফসিলিদের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতন।
বঙ্গে সফরে এসে বার বার তফসিলি সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে কোণঠাসা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সভায় বলেন, ‘ধীরে ধীরে তৃণমূল আর দিদির ভাবনা প্রকাশ পাচ্ছে। একটা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, দিদির ঘনিষ্ঠ এক নেতা তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষদের কিভাবে অপমান করছেন। যা দেখে চমকে উঠছে মানুষ। এমন ভাবনা দিদির? এত অহংকার?’
এখানেই শেষ নয়, রবিবারের সভা থেকে আবারও মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করে মোদী জি বলেন, ‘নিজেকে তো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলেন দিদি। তাঁর অনুমতি ছাড়া তৃণমূলে কেউ কিছুই বলতে পারে না! তাহলে ওনার ঘনিষ্ঠ নেতা কিভাবে তফসিলিদের অসম্মান করছেন, ভিখারি বলছেন? উনি কি এর প্রতিবাদ করেছেন? অনুশোচনা নেই, ক্ষমাও চাননি। তাহলেই বুঝুন দিদির নির্দেশেই সব হচ্ছে!’