২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই থাবা বসিয়েছিল বিজেপি। র যেগুলো দখল করতে পারেনি, সেগুলোতেও ভালো ছাপ ফেলা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষ হইতে। তবে শুধু বাদ গেছিল পশ্চিমবঙ্গ আর কেরল। এই দুই রাজ্যে ২০১৪ এর নির্বাচনের পর সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি বিজেপি। ১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে একের পর এক রাজ্যে জয়েয় ধ্বজ উড়িয়েছিল বিজেপি। এমনকি যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, সেখানেও জোট করে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি।
২০১৪ এর নির্বাচনে বিজেপির প্রধান স্লোগানই ছিল, কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার। আর সেই লক্ষ্যে ক্রমশ্য এগিয়েও গেছিল বিজেপি। নোটবন্দী, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইকের মতো একের পর এক গম্ভীর সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আরও বড় জয় হাসিল করে নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৯ এর নির্বাচন যেতে যেতেই বিজেপির হাওয়া ফিকে হতে চলেছে।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পর মহারাষ্ট্র আর ছত্তিসগড় হাতছাড়া হল বিজেপির। মহারাষ্ট্রে সবথেকে বড় দল হয়েও সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। শিবসেনা, কংগেস আর এনসিপি মিলে বিজেপিকে ক্ষমতা চ্যুত করেছে। এবার ছত্তিসগড়েও সেরকমই কিছু দেখা গেলো। ছত্তিসগড়ে বিজেপি বিরোধী দল গুলো একজোট হয়ে সরকার গড়ার লক্ষ্যে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে। ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় এখনো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী, বিজেপি ২৯, কংগেস জোট ৩৯ আর অন্যান্যরা ১৩ টি আসনে এগিয়ে আছে।
৪২ টি আসনে জিততে পারলেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভা দখল করা যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার খুবই কাছে রয়েছে কংগ্রেস জোট। তাঁদের জিততে গেলে আর লাগবে মাত্র ৩ টি আসন। আর বিজেপিকে জিততে গেলে লাগবে ১৩ টি আসন। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া একেবারেই যে অসম্ভব সেটা বোঝাই যাচ্ছে।