বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির নবান্ন অভিযানে জোর চাঞ্চল্য ছড়াল ডানকুনিতে। একদিকে বিজেপির অভিযানের আগেই ঝাঁপ বন্ধ করা হয়েছে নবান্নর, আরেকদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া বিজেপির নেতা, কর্মীদের গাড়ি আটকে তাঁদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। এরকমই কিছু চিত্র দেখা যায় হুগলীর ডানকুনিতে। সেখানে টোল প্লাজার পাশে বিজেপির কর্মীদের বাস আটকে দেয় পুলিশ। এরপর বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তা অবরোধ করে। তারপর বিজেপির কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
বিজেপির কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করায় অনেক বিজেপি কর্মীই আহত হন। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে লাঠি দিয়ে বিজেপির কর্মী বোঝাই বাসে হামলা করতে দেখা গিয়েছে। সাধারণ কয়েকজন যাত্রী পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আজ বিজেপি আর পুলিশের এই ধুন্ধুমারে অনেক পথযাত্রী এবং সড়ক পথে অফিসে যাওয়া অফিসযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এও প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশ হয়ে কীভাবে একটি বাসের উপর এমন হামলা চালাতে পারে?
আরেকদিকে, বিজেপির সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘বিজেপির নবান্ন অভিযানের নাম শুনেই মমতা ব্যানার্জী পালিয়ে গেছেন।” তিনি বলেন, তৃণমূল ৭০ শতাংশ হেরে গিয়েছে। এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য বাংলার মাটিতে পা রেখেই বলেছিলেন, ‘ভয় পেয়েছে মমতা”। আরেকদিকে, বিজেপির তরফ থেকে আজকের দিনটিকে পলায়ন দিবস বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
জানিয়ে দিই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেওয়া বিজেপির নেতা কর্মীদের রাস্তায় আটকে দিচ্ছে পুলিশ। এমনকি তাঁদের গ্রেফতারও করা হচ্ছে। যদিও কি কারণে তাঁদের আটকানো হচ্ছে আর গ্রেফতার করা হচ্ছে সেই নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও কিছুই বলা হচ্ছে না।
আরেকদিকে নবান্নের সামনে ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। কোনওমতেই যে বিজেপি কর্মীদের নবান্নের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না সেটাই বলাই বাহুল্য। নবান্ন বন্ধ হতেই কালীঘাটে মমতা ব্যানার্জীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। সেখানে দেওয়া হচ্ছে জয় শ্রী রাম স্লোগান।