বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে দেখা গিয়েছিল দলবদলের পালা। তবে এবার দেখা যাচ্ছে, বিজেপির (bjp) হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ‘লেফট’ করার একটা প্রবণতা। বুধবারই প্রকাশিত হয় বিজেপি-র রাজ্য কমিটির তালিকা। আর তারপর থেকেই দেখা গিয়েছে, একের পর এক নেতৃত্ব বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ‘লেফট’ করে যাচ্ছেন।
সামান্য মতানৈক্য হলেই, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ‘লেফট’ করে যাচ্ছেন বিজেপির নেতৃত্বরা। জানা গিয়েছে, দলের প্রতি কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ হওয়ায় পাঁচ বিধায়ক শনিবারই দলের হোয়াটস অ্যাপ থেকে বেরিয়ে গেছেন। এবিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ না খুললেও কানা ঘুষো কিছু কথা উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, সদ্য গঠিত বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া-প্রতিনিধিদের সেভাবে জায়গা দেওয়া হয়নি, বলেই নাকি দলের প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে কিছু বিধায়কের। যার কারণেই তাঁরা দলের হোয়াটস অ্যাপ ছেড়ে দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই ৫ বিধায়করা হলেন অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়। তবে এই বিধায়করা বড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। আবার নাকি বিজেপির মিডিয়া গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবার দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন বসু। কিন্তু তালিকা প্রকাশের পর, কমিটিতে তাঁর নামই আর দেখা গেল না। যার ফলে দলের প্রতি কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেই বেরিয়ে যান সায়ন্তন বসু। এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্য কমিটিতে না থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকাটা তো স্বাভাবিক নয়। তাই বেরিয়ে গেছি’।
জানা গিয়েছে, বিজেপির প্রকাশিত রাজ্য কমিটি নিয়ে খুশি নন সাংসদ-প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। তিনি বর্তমানে দিল্লীতে রয়েছেন এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেও চেয়েছেন তিনি।