বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান আইন অনুসারে যে কেউ তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। আর সেই সুযোগ নিয়ে কিছু নাম গোত্রহীন রাজনৈতিক দল চালিয়ে যাচ্ছে গোপনে গোপনে কালো টাকার লেনদেন। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও প্রকারের আয়কর দিতে হয় না সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলি সবার অলক্ষে এই কাজ করে চলেছে।
সূত্র থেকে খবর, ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার মুখ্য কমিশনার রাজিব কুমার সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলের ব্যাপারে স্পষ্টতা আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন এবং সেই কারণেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কর্মকাণ্ডের ওপর রাখা হচ্ছিল নজরদারি। এর পরেই আয়কর দপ্তর এবং ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ায় তরফ থেকে যৌথভাবে অভিযান চালানো হয় এবং খতিয়ে দেখা হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির বাৎসরিক রিটার্ন। এগুলি খতিয়ে দেখার পরই সন্দেহজনক ৩৩৯ টি ছোট ছোট রাজনৈতিক দলকে চিহ্নিত করেছেন আয়কর দপ্তর ও ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া।
এই চিহ্নিত করা দলগুলির মধ্যে থেকেও জানা গেছে ৮৬ টি দলের নেই কোনও অফিসও। এবং বাকি দলগুলির অফিস থাকলেও কোনও কর্মকাণ্ড সেখানে হয় না। অভিযানের ফলে বেরিয়ে আরও এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি বস্তিতে খোলা হয়েছিল একটি রাজনৈতিক অফিস যার কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না থাকা সত্ত্বেও তাতে গত বছর সেই দলের তহবিলে জমা পড়েছে ৯০ কোটি টাকা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সেই দলের তরফ থেকে জানানো হয় যে চাঁদা প্রদানকারীরা, যেহেতু প্রত্যেকে কুড়ি হাজার টাকার কম চাঁদা দিয়েছে তাই তারা চেকে না দিয়ে নগদ চাঁদা দিয়েছিল এবং একত্রে সেই টাকায় জমা করা হয়েছে দলের তহবিলে। সেই একই কারণে চাঁদা প্রদানকারীদের নাম ঠিকানা বা কোনও তথ্য দলের কাছে নথিভুক্ত নেই। দলে তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে এই দল সেই বস্তিবাসীদেরকে নিয়মিতভাবে খাওয়ানো ব্যবস্থা করে। কিন্তু বিভাগের তরফ থেকে অনুসন্ধান করা হলে জানা যায় যে আদৌ সেইরকম কোনও কর্মকাণ্ড সেই দলের পক্ষ থেকে কোনদিনই করা হয় না।
জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ের এই ছোট দলটি ছাড়া এরকম আরো অনেক দল রয়েছে যাদের কর্মকাণ্ডে রয়েছে একই রকমের গলতি। আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির কর্মকাণ্ড ও তহবিল সংক্রান্ত ব্যাপারে নতুন কোনো আইন আনার ব্যবস্থা করা হবে।