বাংলাহান্ট ডেস্ক : বগটুই অগ্নিকাণ্ডের আগুন এখনও নেভেনি ভালো মতন। এরই মধ্যে মালদায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ি। মৃত্যু চার বছরের দুধের শিশুর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার কালিয়াচক এলাকার নয়াগ্রামে।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকাল নাগাদ রান্নার কাজ কর্ম চলছিল বাড়িতে। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন জনা ছয়েক বাসিন্দা। রান্না করতে করতে হঠাৎ সেখান থেকে অন্য কোনও দরকারে উঠে বাইরে যান এক মহিলা। সেই সময় সেখানে ছিল বছর চারেকের পারভেজ আক্তার। ঠিক তখনই জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে বাড়িতে। বিস্ফোরণের ফলে মাথায় আঘাত লাগে তার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় ছোট্ট পারভেজ।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ভেঙে পড়ে বাড়ির পাকা ছাদের একাংশও। রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় বাড়িটি। পরিবার সূত্রে দাবি, রান্নার গ্যাসের সিলিণ্ডার ফেটেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে তা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের অভিঘাতে এত মারাত্মক প্রভাব হওয়া সম্ভব কি না, তাই ভাবাচ্ছে তাঁদের।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কালিয়াচক থানার আইসি এবং মালদহের ডেপুটি পুলিশ সুপার। বাউন্ডারি করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে পুরো বাড়িটিকে। আদৌ গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই ওই বিস্ফোরণ নাকি বাড়ির মধ্যে মজুত করা ছিল শক্তিশালী বোমা তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বোমা এবং বিস্ফোরণের সঙ্গে যে কালিয়াচকের যোগ অতি নিবিড় তা বলাই বাহুল্য। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও কালিয়াচকে লোকালয়ের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যাগ বোঝাই বোমা। একই সপ্তাহের মধ্যে দু দুবার উদ্ধার হয়েছিল বোমা। হঠাৎ করেই বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। আর তারপরই সেই ব্যাগ থেকে বেরোয় ব্যাগ বোঝাই বল বোমা। এখানেই শেষ নয়, গত বছর অক্টোবর মাসেও বোমা বিস্ফোরণের খবর আসে এই কালিয়াচক থেকেই। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় দুই শিশু। ফলে এদিনের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় যে পুলিশের সন্দেহের তীর সেই বোমার দিকেই সেকথা বলার অবধি রাখে না।