বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দামামা। আর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। ইন্দাসে সময়মতো প্রার্থীরা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখান। এমনকি বিডিও অফিসের সামনের রাস্তায় দলীয় কর্মি-সমর্থকদের নিয়ে বসে পড়েন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার বেলা ১০টা থেকে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের বিডিও অফিসে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা। কিন্তু বাঁকুড়ার মেজিয়া এবং কোতুলপুর ব্লকের মতো ইন্দাস ব্লকেও বেলা ১২টার পরেও মনোনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম-সহ অন্যান্য নথিপত্র না পৌঁছনোয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। শুক্রবার সকাল থেকেই স্থানীয় এলাকার পঞ্চায়েত প্রার্থীরা প্রবল দাবদাহকে উপেক্ষা করে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন।
প্রশাসনিক গাফিলতিতে তাঁরা মনোনয়ন জমা করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মনোনয়নের কাগজ না পৌঁছানোয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে, এই খবর পৌঁছতেই বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র ছুটে যান ইন্দাস বিডিও অফিসে। সেখানে প্রশাসনিক গাফিলাতির অভিযোগ তুলে দলীয় নেতা কর্মিদের নিয়ে প্রথমে বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন। পরে বিডিও অফিসের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন ধর্নায়।
সৌমিত্র বলেন, ‘প্রশাসনিক গাফিলাতির কারণেই আমাদের দলের প্রার্থীরা আজ মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। পরিকাঠামো এবং আগাম প্রস্তুতি না থাকলে এত তড়িঘড়ি করে নির্বাচন ঘোষণার কী প্রয়োজন ছিল? উঠল বাই তো মক্কা যাই, এই ভাবনায় বিশ্বাসী রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।’
এদিন বিষ্ণুপুরের সাংসদ আরও বলেন, ‘প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের শাসকদল বিরোধীদের ঠেকানোর যত চেষ্টাই করুক না কেন, কোনও ভাবেই ঠেকাতে পারবে না। আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত।’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন ফর্ম সংক্রান্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভূক্ত। তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু সাংসদ যা করেছেন তা নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি সারা বছর দিল্লিতে থাকেন। এখন জেলায় এসে নাটক করে সংবাদমাধ্যমের নজর টানার চেষ্টা করছেন। মানুষ সব বুঝতে পারছে।’