বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সময়ের সাথে সাথে যেন জটিলতা বেড়েই চলেছে রাজ্যের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট অর্থাৎ (TET)-এর ফলাফল নিয়ে। দেখতে দেখতে বছর শেষ হতে চলল। কিন্তু গোটা একটা বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি ২০১৩ সালের টেট-এর ফলাফল। এরই মধ্যে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal) এই টেট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জানালেন এক বিরাট আপডেট।
২০২৩ সালের TET নিয়ে বড় আপডেট!
২০২৩ সালে টেট (TET) পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশিত হবে? তা জানতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু নতুন বছর শুরুর আগেও এল না কোনো সুখবর। এপ্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনি জট না কাটা পর্যন্ত ২০২৩ সালের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কোন সম্ভাবনাই নেই।
এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিছু পরীক্ষার্থী টেটের (TET) ভুল প্রশ্ন নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ-ও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই প্রশ্নগুলির বেশিরভাগই ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেটের। তাই আগের টেট পরীক্ষার আইনি জটিলতা না কাটিয়ে ২০২৩ সালের টেটের ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না।’
হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় ২৩ টি প্রশ্ন ভুল ছিল। আর তার পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় ২৪টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে।
আরও পড়ুন: হনুমানের বংশপরিচয় নিয়ে বিস্ফোরক যোগীর মন্ত্রী! উস্কে দিল ‘দলিত’ মন্তব্যের কথা
এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরেই বিশদে রিপোর্ট প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে ওই কমিটি। ওই আইনি জটিলতা মেটানোর পরেই ২০২৩ সালের টেটের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে আইনি পরামর্শ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও মামলা রয়েছে ২০২৩ সালে টেটের প্রশ্ন নিয়েও। পশ্চিমবঙ্গে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার পাঁচ বছর পর আবার টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০২২ সালে।
রাজ্যে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষের মতো। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল মোট দেড় লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। ওই বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বছরে দু’বার পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কথা মতই ২০২৩ এর ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
মোট ৩ লক্ষ ৯৫৪ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসেছিল মাত্র ২ লাখ ৭২হাজার জন। পরীক্ষার পর বছর ঘুরতে চললেও এখনো পর্যন্ত কোন ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এসবের মধ্যেই নানান আইনি জটিলতা এবং নিয়োগে দেরির কারণে ২০২৪ সালের টেটও বাতিল হয়ে গিয়েছে।