বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের (Hemtabad) বিজেপি (Bharatiya Janata party) বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায় (Debendra Nath Ray) এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনুমান, ওনাকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সবার অনুমান, ওই বিধায়ককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত খুনের কারণ জানা যায়নি। অনুমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিধায়কের এই পরিণতি।
২০১৬ সালে হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআইম এর টিকিটে নির্বাচনে লড়েছিলেন দেবেন্দ্র নাথ রায়। তিন বছর যেতে না যেতেই ২০১৯ এ তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এরফলে ওই বিধানসভা অঞ্চল বিজেপির দখলে চলে যায়। বিন্দল গ্রামে আজ সকালে ওনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমছে। বিধায়কের পরিবার জানায়, গতকাল রাত ১ টা নাগাদ কয়েকজন বাইকে করে এসে ওনাকে ডেকে নিয়ে যায়। আর আজ সকালে বালিয়া মোড় এলাকায় একটি দোকানের সামনে ওনার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়ের অভিযোগ করে বলেন, ওনাকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। বিধায়কের পরিবার এই ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির সাজা দাবি করেছে।
Body of Shri Debendra Nath Ray, BJP MLA from Hemtabad, a reserved seat, in Uttar Dinajpur, was found hanging like this in Bindal, near his village home. People are of the clear opinion that he was first killed & then hung.
His crime? He joined the BJP in 2019.
Om Shanti. pic.twitter.com/Zqbh1BZZIq
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) July 13, 2020
অনেকেরই অনুমান শাসক দলের হাতেই খুন হতে হয়েছে এই বিধায়ককে। তবে তদন্ত না হলে, কেন আর কে খুন করেছে সেটা নিয়ে বলা সম্ভব না। রাজ্যের বিধায়ককে এরকম ভাবে খুনের ঘটনা এই প্রথম। এর আগে বিজেপির বহু নেতা কর্মীকে একের পর এক খুন করা হয়েছে। ২০১৯ এর ভোটের আগে পুরুলিয়ায় বিজেপির দুই কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপির তরফ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খুন নিয়ে বারবার সরব হলেও এরকম ঘটনা রাজ্যে কমেনি। এমনকি ২০১৯ এ বিজেপি যখন লাগাতার তৃণমূলের উপর আঙুল তুলে বলছিল যে, তৃণমূলই তাদের কর্মীদের খুন করছে। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পরিস্কার জানিয়ে দেন যে, তৃণমূল কাউকে খুন করেনি, বিজেপির কর্মীরা অবসাদে আত্মহত্যা করেছে। তবে আজকের এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যে আবারও তোলপাড় হতে চলেছে সেটাই বলাই বাহুল্য।