বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড এখনো সবার মনে তরতাজা। নির্মমভাবে প্রেমিকের হাতে শ্রদ্ধার খুন হওয়ার ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে সারাদেশ। এমনই অবস্থায় বারুইপুর থেকে উদ্ধার করা হলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন একটি মৃতদেহ। মৃতদেহটির হাত, পা কিছুই ছিল না। পুকুরে শুধুমাত্র ভাসছিল দেহের উপরের অংশটুকু। মুখ প্লাস্টিক দিয়ে বাঁধা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত ওই ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চক্রবর্তী।
পুলিশের অনুমান কেউ বা কারা উজ্জ্বলবাবুকে নির্মমভাবে খুন করে পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছে। স্থানীয় পুকুর থেকে এইভাবে একটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, তাদের এলাকায় এর আগে কখনো এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতিকে খুঁজে বার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার মল্লিকপুর রোডের ডিহি মদনমল্য গ্রামে। এলাকার স্থানীয় একটি পুকুর থেকে ক্ষত- বিক্ষত এই মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় বৃহস্পতিবার রাতে। রাত্রিবেলা এক স্থানীয় বাসিন্দা পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পান যে পুকুরে কিছু একটা ভাসছে। এরপর তিনি জড়ো করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, আমরা পুকুরের কাছে গিয়ে দেখি টি-শার্ট পরা একটি দেহের অংশ পুকুরে ভাসছে। এই ঘটনায় আমরা খুবই আতঙ্কিত। এর আগে কখনো এই ধরনের ঘটনা আমাদের এলাকায় ঘটেনি। পরিবেশ-পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত ওই ব্যক্তি নৌ সেনার কর্মী ছিলেন। তার বয়স ৫৫ বছর। প্রাক্তন এই নৌসেনা কর্মী গত ১৪ ই নভেম্বর থেকে নিরুদ্দেশ ছিলেন। বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।