চরম অস্বস্তি তৃণমূলে! দলের নেতারা বাড়ি ছাড়তেই জল-ঝাঁটা দিয়ে উঠোন ধুলেন বগটুইয়ে নিহতের পরিবার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার বগটুই গণহত্যার (Bogtui Genocide) বর্ষপূর্তিতে নিহতের সন্মান জানাতে সেখানে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব (TMC Leaders)। তবে সেখানেই ঘটল বিপত্তি। বগটুই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল শাসকদলের প্রতিনিধিদের।

সূত্রের খবর, এদিন নিহত বানিলাল শেখের বাড়িতে পৌঁছন চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তবে তাদের দেখেই বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন বানিলালের দাদা মিহিলাল শেখ। বিশেষত, আশিসবাবুকে কোনও অবস্থাতেই বাড়িতে ঢুকতে দিতে নারাজ তারা। অভিযোগ, গত এক বছরে বিধায়ক তাদের পাশে দাঁড়াননি। সেই ক্ষোভেই আশিসবাবুকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন পরিবারের লোকজন।

নিহত বানিলালের দাদা মিহিলালকে প্রায় ১০ মিনিট বোঝানো হলে তিনি বাকিদের ঢুকতে দিলেও আশিসবাবুকে চৌকাঠ পেরোতে দেননি। অন্যদিকে সাক্ষাৎ শেষে তৃণমূল নেতারা বেরিয়ে যেতেই আরেক কাণ্ড। শাসকদলের প্রতিনিধিরা যাওয়ার পরই জল ঝাঁটা নিয়ে উঠোন ধুতে শুরু করেন মিহিলালের দিদি মেরিনা বিবি।

সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেরিনা বলেন, তৃণমূল নেতারা আসায় উঠোন অপবিত্র হয়ে গিয়েছে। তাই শুদ্ধকরণের জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে তৃণমূল সদস্যরা বাড়ি ছাড়তেই জল দিয়ে উঠোন ধোয়ানোর এদিনের ঘটনাকে কিছুটা উলটপুরান রূপেও দেখছেন অনেকে।

tmc flag

সাধারণত বিজেপি নেতারা বিশেষত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোথাও সভা করলে সেই জায়গাকে শুদ্ধ করতে একেবারে গঙ্গাজল নিয়ে পৌঁছে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এদিনের ঘটনা একেবারেই বিপরীত। প্রসঙ্গত, বগটুই গণহত্যা কাণ্ড নিয়ে শুরুর থেকেই শাসক-বিরোধী সংঘাত। প্রথমে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে তৃণমূল অভিযোগ করলেও পরে সিবিআই তদন্তে প্রমাণ হয়ে যায়, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে ১০ জনকে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর