বাংলাহান্ট ডেস্ক : বীরভূমের (Birbhum) বগটুই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হল সিবিআই (CBI) হেফজতে। গত ৪ ডিসেম্বর ধরা পড়ে লালন শেখ। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে রাখা হয় লালনকে। সেখানেই আজ তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বগটুইয়ে ভাদু শেখের মৃত্যুর পর যে পাল্টা হামলা ও ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে তাতে মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে মনে করা হচ্ছে। আজ সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জেলা পুলিসকে ঘটনাটিকে সুইসাইডাল হ্যাংগিং বলে জানানো হয়েছে।
গত ২১ মার্চ বগটুইটের প্রাক্তন উপপ্রধান ভাদু শেখকে কেউ বা কারা গুলি করে হত্যা করে। সেই ঘটনার পাল্টা হিসেবে বগটুই গ্রামে হামলা চালায় একটি সশস্ত্র দল। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ভাদু শেখের বিরোধী পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর। এতে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। সেই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে মনে করা হয় লালন শেখকে।
ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। গত ৪ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গোপনসূত্রে সিবিআইয়ের কাছে খবর ছিল ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে। সেখান থেকে তাকে তুলে এনে রামপুরহাটের বাইরে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখে সিবিআই। সেখানেই তাকে জেরা করা হচ্ছিল।
ঝাড়খণ্ডের পাকুরের নরোত্তমপুর থেকে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেখানে একটি ঝুপড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল সে। ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন। হেফাজতে লালনকে বীরভূমের রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে রেখেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে জেরা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।