বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের (Birbhum) নানুরে (Nanur) ছাত্রী গণধর্ষণ মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়! এদিন সকালে জানা যায়, নানুরে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে চার যুবক। তবে তদন্তের পর সামনে উঠে এলো বিস্ফোরক তথ্য। পুলিশের দাবি, এক্ষেত্রে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। বরং বাবার বকুনির হাত থেকে বাঁচার জন্যই গল্প ফাঁদে ওই নাবালিকা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গতকাল রাতে বীরভূমের নানুর এলাকায় বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে একটি মেলাকে কেন্দ্র করে। বীরভূমের নানুর থানার সাঁওতা গ্রামের একাদশ শ্রেণির এক নাবালিকা গতকাল কীর্ণাহার এলাকায় একটি মেলা দেখতে রওনা দেয়।
অভিযোগ, মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চার যুবক মিলে তার পথ আটকায়। পরবর্তীতে ছাত্রীটিকে অজ্ঞান করার মাধ্যমে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এদিন সকালে জ্ঞান ফেরার পর ফাঁকা এলাকায় নিজেকে উদ্ধার করে নির্যাতিতা এবং এরপর বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ঘটনা খুলে জানায় সে। এমনকি, পরবর্তীতে আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করে ছাত্রীটি। এদিন সকালে এহেন তথ্য সামনে উঠে আসলেও পুলিশি তদন্তের পর সামনে এলো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পুলিশের দাবি, এক্ষেত্রে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাটি গতকাল রাতে পিসির বাড়িতে তার এক বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে ছিলো। সেখান থেকে পরের দিন বাড়ি ফিরলে মা বকাবকি শুরু করে। এরপর বাবার বকুনির ভয়ে সে ধর্ষণের গল্প ফাঁদে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে নাবালিকাটির পিসি এবং তার বিশেষ বন্ধুকে জেরা করা হচ্ছে।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে নাবালিকার মা জানান, “এদিন সকালে আমার মেয়ে বাড়ি ফেরে। সেই সময় ও ধর্ষণের গল্প ফাঁদে। তবে এক্ষেত্রে বাবার বকুনির ভয়ে এই কাণ্ড ঘটায় ও। আসলে গতকাল রাতে ওর বন্ধু দ্বীপের সঙ্গে পিসির বাড়িতে ছিল আমার মেয়ে।” পরিবার সূত্রে খবর, তাদের মেয়ে প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আনলে সকলে হতবাক হয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে মেয়েটির ‘বিশেষ’ বন্ধু সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে নেওয়ায় পুলিশের কাছে কোনো রকম অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।