সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ বোলপুরে পুরোদমে চলছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। পাশাপাশি পূজারীরাও নিচ্ছেন নানা প্রস্তুতি। দূর্গাপূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে বোলপুর চত্বর।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাৎসবের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শঙ্খ, ঢোল আর উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করবেন তাদের আরাধ্য দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে। সে লক্ষ্যে,মিশনকম্পাউন্ডে (B.A.C.A) পুরোদমে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী সহ থিমের শিল্পীরা। এই বছর এই পূজা কমিটির থিম,‘হারিয়ে যাওয়া সময় বুনি কাটপুতুলের গল্প শুনি।’ এই থিমকে সামনে রেখেই এই বছর এগিয়ে চলেছে মিশনকম্পাউন্ড। এই পূজা কমিটির এই বছর বাজেট প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ অতনু ঘোষ বলেন,“প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ঠিক একই ভাবে আমরা দেবীর আরাধনা করবো। এই বছর আমাদের বাজেট প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এই বছর আমরা একটা নতুন চমক নিয়ে আসছি।আমাদের পূজা মণ্ডপে যেমন বড়োদের মন কাড়বে তেমনি মন কাড়ব শিশুদের।”
সাধারণ পূজারিদের কয়েকজন জানায়, দুর্গা মা আসছেন, প্রতি বছর তিনি আসেন এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করেছে। সেই সাথে প্রস্তুতিও ভাল নেয়া হচ্ছে।
‘হারিয়ে যাওয়া সময় বুনি কাটপুতুলের গল্প শুনি’ এই থিমের শিল্পী বোলপুরের অনুভব আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর হালদার।
ছবিঃ শিল্পী দীপঙ্কর হালদার।
ওনার কথায়,“এই বছর মিশনকম্পাউন্ডে থাকছে একটা বিশেষ চমক। যা সবারই মন জয় করতে পারবো। এটাই আমার আশা। দর্শকদের যদি ভালো লাগে তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। পূজা মণ্ডপের ভিতরে থাকছে শোলের আদলে বড়ো,বড়ো পুতুল। থাকছে লক্ষ্মী পেঁচা,গণেশ,গ্রাম বাংলার মানুষ,কচ্ছপ সহ একাধিক আকর্ষণীয় জিনিস দিয়ে এইবার এই পূজা মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।”