বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবারের বাংলা ভোটে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো। আর সেই চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে নির্বাচনের কমিশনের তরফ থেকে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের একগাদা পুলিশ-প্রশাসনিক কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ পুরকায়স্থকেও সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। আর এরপরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, যাকে খুশি সরান কোনও লাভ হবে না, কারণ বদলি করে যাকে আনছেন তাঁরাও আমাদেরই লোক।
তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সাংসদের এহেন বয়ান দিয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে যে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে, সেটাই বলাই বাহুল্য। আরেকদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর জন্য বিপুল সংখ্যক আধাসেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। এত সেনা এর আগে কোনদিনও দেখেনি রাজ্যবাসী। তবে নির্বাচন অবাধে হবে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।
আর নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে একাধিক জায়গা থেকে অজস্র বোমা উদ্ধার হয়েছে। বোমা উদ্ধারের ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যবাসীকে। দিন দুয়েক আগেই পূর্ব বর্ধমানের বসিকপুরে বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে এক দুধের শিশু। তবুও রাজ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বিরাম লাগে নি। আর এরই মধ্যে তৃণমূল পার্টি অফিসে বোমা ফাটার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জয়পুরের মুরারিগঞ্জে তৃণমূলের পার্টি অফিসের ভিতরে শুক্রবার বিকেলে বোমা ফেটেছে বলে জানা যাচ্ছে। পার্টি অফিসের ভিতরে বোমা ফাটায় তৃণমূলের চারজন কর্মী আহতও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করে বলেছে, তৃণমূলের পার্টি অফিসের ভিতরেই মজুত ছিল ওই বোমা। আর সেটা ফেটে শাসক দলের কর্মীরা আহত হয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শাসক দলের পার্টি অফিসের ভিতরে বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের চারজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। আরেকদিকে, তৃণমূলের তরফ থেকে এই ঘটনার জন্য সিপিএমকে দায়ি করা হয়েছে, তাঁদের দাবি অনুযায়ী সিপিএম কর্মীরা তাঁদের পার্টি অফিসে বোমা ছুঁড়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকা চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বলে রাখি, আগামী ১লা এপ্রিল কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হতে চলেছে।