বাংলাহান্ট ডেস্ক : বগটুইয়ের আনাচে কানাচে এখনও লেগে রয়েছে মানুষ পোড়া গন্ধ। একের পর এক পরিবারকে পোড়ানো আগুনের আঁচ এখনও একেবারে নিভে যায়নি। মাঝখানে দিন দশেক কাটলেও এখনও সেই অভিশপ্ত রাতের কথা ভেবে রাত জাগে বগটুইবাসী। এরই মধ্যে আবার। রবিবার সাত সকালে রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম থেকে উদ্ধার হল বোমা। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল আতঙ্ক এবং চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। শেষমেষ রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে বোমা নিষ্ক্রিয় করে বম্ব স্কোয়াড।
জানা যাচ্ছে, ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত, পলাতক পলাশ শেখের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয় এক জার বোমা। পুলিশ খবর পাওয়ার পর খবর দেয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর অবশেষে নজু শেখের জমি থেকে উদ্ধার হয় বোমাগুলি।
মাটির বেশ কিছুটা নীচে, অতি গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষিত হয়েছিল বোমা গুলি। প্রথমবারের খোঁজাখুঁজিতে সেগুলি খুঁজে পেতে বেশ হয়রান হতে হয় পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াডকে। কিন্তু পরে আরও খতিয়ে তল্লাশি করলে দেখা যায় একটি কাঠের পাটাতনের তলায় রয়েছে জার ভর্তি বোমা।
আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হল এই যে বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের ঠিক যেখানে গিয়েছিলেন সেই স্থানের মাত্র ২০০ মিটারের মধ্যে উদ্ধার হয় এই বোমা। এবং বোমা গুলি যেভাবে পাওয়া যায় তাতে সেগুলি যে বেশ অনেকদিন ধরেই ওখানে রাখা ছিল তা স্পষ্ট। ফলে এই ঘটনায় এই বিষয়টি সাফ যে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে আসার আগে তাঁর নিরাপত্তার কারণে চারিদিকে তল্লাশি চালায়নি পুলিশ। এমনকি এই গ্রামে গনহত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যে বোমা উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দিলেও খোদ বগটুইতেই সেই ভাবে চালানো হয়নি তল্লাশি। এহেন একটি স্পর্শকাতর মামলায় এবং খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাতেও কীভাবে এতখানি গাফিলতি দেখাতে পারে পুলিশ, উঠছে প্রশ্ন।