‘ধর্ষণের পর সেই মহিলার…’! বিরাট রায় দিয়ে দিল হাইকোর্ট! শোরগোল রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তাল বাংলা। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে এই ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সরব প্রত্যেকে। এই আবহে এবার একটি ধর্ষণ মামলায় (Rape Case) বড় রায় দিয়ে দিল হাইকোর্ট (High Court)। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

ধর্ষণ মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (High Court)!

জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে। এই তরুণীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্ত। এই মামলার অভিযুক্ত শ্রমিক বালিয়া ওরফে রাহুল লোখান্ডেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে সেশনস কোর্টের দেওয়া শাস্তি বহাল রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতার সাক্ষ্য সুসংহত, নির্ভরযোগ্য এবং অকাট্য।

পুলিশি এফআইআর অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ রাতে ওই ঘটনা ঘটেছিল। তরুণী সেই সময় ঘরে একা ছিলেন। ওই সুযোগে অভিযুক্ত রাহুল লোখান্ডে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কোনও ক্রমে নিজেকে বাঁচিয়ে স্থানীয় এক দোকানদারকে ফোন করেছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু অভিযোগ, তিনি আসার আগে ফের একবার রাহুল ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এরপর দোকানদার আসলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক শুরুর আগেই বড় খবর! এবার নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পরের দিন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। সেই অভিযোগ দেখার পর ও বয়ান শোনার পর বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) বিচারপতি জানান, নির্যাতিতা তরুণীর সাক্ষ্য নির্ভরযোগ্য ও সুসংহত। তাঁর বয়ানে আত্মবিশ্বাস আছে, যা এই ঘটনার সত্যতাকে চিহ্নিত করে। এই নিয়ে আদালতের কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।

High Court

পাল্টা অভিযুক্তের তরফ থেকে দাবি করা হয়, অভিযোগকারিণী বাড়ির মালিকের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে রাহুলকে ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়েছেন। যদিও আদালতের (High Court) তরফ থেকে তাঁর সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। পাল্টা অভিযুক্তের তরফ থেকে সওয়াল করা হয়, ওই তরুণী কেন সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে এফআইআর করেননি? কেন পরের দিন থানায় গিয়েছিলেন?

এরপরেই আদালতের (High Court) তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, ধর্ষণের মতো ভয়ানক ঘটনার পর সেই মহিলার পক্ষে রাতের বেলা একা গিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরের থানায় অভিযোগ জানানো বাস্তবসম্মত নয়। হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, নিজের সম্মানহানির মিথ্যে অভিযোগ বলে কখনও আদালতে হাজির হতে পারেন না একজন মহিলা। ধর্ষণের শিকার হলে অনেকে ‘লজ্জাজনক ঘটনা’ বলে চেপে রাখতে চান। সেসব দিক মাথায় রেখে সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। এমনকি যদি শারীরিক আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকে, তাহলেও ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণ হয় না বলে জানিয়েছে আদালত।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর