বাংলাহান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার সাত সকালেই ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া। বোমাবাজিতে চরম আতঙ্ক এবং উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অতিমাত্রায় তৎপর পুলিশ। তার মধ্যেই কীভাবে বোমাবাজি করতে পারল দুষ্কৃতিরা, কোথা থেকেই বা এল বোম এই সমস্তকে ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত থেকেই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে দুষ্কৃতিরা। ভাটপাড়ার আটচালা বাগানে চলে এই দৌরাত্ম্য। পরপর বোমাবাজিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। যদিও কী উদ্দ্যেশ্যে এই বোমাবাজি তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দুষ্কৃতিদের দৌরাত্ম্য, মুড়ি মুড়কির মতন বোমাবাজি, গুলি, রাজনৈতিক দাঙ্গার কারণে বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে কুখ্যাত ভাটপাড়া। কোথা থেকে যোগান আসছে এই বোমা-বারুদের? তার উত্তর জানা নেই কারওরই। ঘটনার তদন্ত করছে জগদ্দল থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছুই জানা যায়নি৷ গ্রেপ্তার করা যায়নি কাউকেই।
রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সজাগ হয়েছে পুলিশ। রাজ্য জুড়ে চলছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারের কাজও। এই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও। রাজ্য জুড়ে চলছে পুলিশি অভিযান। সেই কারণেই আগামী ১০ দিন ছুটি বাতিল করা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের। রাজ্যে কোথাও বোমা এবং বেআইনি অস্ত্র মজুত হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাইই। পুলিশি অভিযান চালিয়ে একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বোমা এবং বারুদ। কিন্তু সেই অবস্থাতেই দিন দুপুরে কীভাবে বোমাবাজি হওয়া সম্ভব, কোথায় বা দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এই সমস্ত একাধিক বিষয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।