বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের রাম নবমীকে (Ram Nabami) ঘিরে অশান্ত বাংলা। গতকাল অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল হাওড়ার (Howrah) শিবপুর (Shibpur) আর সাঁকরাইল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হল বিরাট পুলিস বাহিনী। রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। সৃষ্টি হয় দাঙ্গার অবস্থা।
খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় বিরাট পুলিস বাহিনী। গোটা এলাকা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বাহিনীও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দাঙ্গাবাজদের দেশের শত্রু বলে চিহ্নিত করে তাদের সতর্ক থাকতে আদেশ দেন। গতকাল রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান তিনি। কিন্তু বাঁধ মানেনি হাওড়া। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
শিবপুর থানা এলাকায় এদিন নাম নবমীর মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। একদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাওড়ার রামরাজাতলায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন। অপরদিকে ওই সময়ই হাওড়ার শিবপুরে মিছিলের উপর হামলা শুরু হয়। মুহুর্তের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিবপুর। জানা যাচ্ছে, রামনবমী উপলক্ষে অঞ্জনি পুত্র সেনার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল।
সেই শোভাযাত্রা কিছুটা দূরে এগিয়ে যেতেই মিছিলে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে। পলকের মধ্যে পাল্টে যায় এলাকার পরিস্থিতি। শুরু হয় ইট বৃষ্টি। ছোঁড়া হয় বোতল। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতে। এলাকায় ছুটে আসে পুলিস ও র্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিস। কারা এই হামলা চালালো তাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত বছরও রাম নবমী উপলক্ষ্যে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এবছর আগে থেকেই রাম নবমীকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা শুরু করে গেরুয়া শিবির। এই দিনে ছুটি দেওয়ার দাবিও জানান হয়।