বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) যতই এগিয়ে আসছে ততই বাক্য দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ছেন রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির । চলছে হুমকি-হুঁশিয়ারি। আর এবার বিতর্কের শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ( Biswajeet Das)।
তৃণমূলের বনগাঁ (Bonga) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, এদিন প্রকাশ্য সভা থেকে রীতিমতো হুমকির সুরে গর্জে উঠলেন তিনি। তার গলায় শোনা গেলো , ‘তৃণমূলকে চোর বললে বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করুন। রাজ্যে বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করা শুরু হবে বাগদা থেকেই। হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করলে ঠ্যাং খুলে হাতে ধরিয়ে দেবেন’। আর এই মন্তব্যের পরই সরগরম রাজ্য- রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাগদা থানার বেয়াড়া বাজারে সভা করেছিলেন গেরুয়া বাহিনী নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। সেই সভাস্থল থেকে কটাক্ষের সুরে তৃণমূল নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। ‘চোর’ বলেও আখ্যা দেন তৃণমূল নেতাদের ৷ এদিন একই সভাস্থলে চলছিল তার পালটা সভা। উপস্থিত চিনেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার একাধিক তৃণমূল নেতারা ।
এদিন সভায় বক্তব্য রাখার সময় হঠাৎই বিশ্বজিৎবাবু কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “কিছুদিন আগে এখানে সভা করতে এসেছিলেন রাহুল সিনহা। তাঁর মতন একজন অপদার্থ বিজেপি নেতা তৃণমূলকে ‘চোর’ বলেছেন। যদি কখনও কোথাও দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয় ঝাঁটা পেটা করে দেবেন৷ এই বাগদা দিয়ে শুরু হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ঝাঁটাপেটা শুরু হবে।”
সাথেই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “বিজেপি নেতারা এসে কোনও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বললে যদি দলের কর্মীরা দাঙ্গা বাধানোর চক্রান্ত করে, তাহলে আপনারাও প্রস্তুত থাকবেন। ওদের ঠ্যাংটা হাতে ধরিয়ে দেবেন।” বিশ্বজিৎ দাসের এই বক্তব্যের সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷ বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্যের পালটা কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, “যে চোর তাঁকে চোর বলতেই হবে। নিশ্চয় তাকে সাধু বলা যাবে না। আগামী পঞ্চায়েতে দেখতে পারবেন কে কাকে ঝাঁটা পেটা করে৷ ভাষণ দিয়ে কোন লাভ নেই। মানুষ চোর মুক্ত বাংলা চাইছে। আপনাদের চোর কথাটা শুনতেই হবে৷”
পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে এরূপ ঝাঁটা পেটা নিদানের হুঁশিয়ারির ফলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। লাগাতার চলতে থাকা এরূপ কু- মন্তব্যের প্রভাব পরছে সাধারণ মানুষের মনেও। প্রতিবারের ন্যায় পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির আশঙ্কা চারা দিচ্ছে সাধারণ ভোটারদের মনে।