বাংলাহান্ট ডেস্ক : টাকা দিলেই তৃণমূলে মিলবে যে কোনও পদই। পুরবোর্ড গঠনের দিন দলের বিরুদ্ধে এহেন বিস্ফোরক অভিযোগে সোচ্চার হলেন বনগাঁ ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর তথা পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রায়। তাঁর অভিযোগ, টাকা দিতে পারেননি, তাই জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা থাকলেও তাঁকে বঞ্চিত এবং ব্রাত্যই করেছে দল। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বনগা পুরসভার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ।
জেতার পর বুধবারই বনগাঁয় বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। এবার চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসেছেন গোপকল শেঠ। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন অন্য আর এক তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্যর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। আর এই নাম ঘোষণার পরই সংবাদমাধ্যমের সামনে দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর কৃষ্ণা রায়।
তিনি বলেন, ‘টাকা দিলেই এই দলে সব পদ পাওয়া যায়। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান হতে গেলে টাকা ফেলতেই হবে। আমরা পয়সা দিয়ে টিকিট কিনতে পারব না। দল আমাদের টিকিট দিয়েছে। আমরা প্রমাণ করেছি মানুষের মধ্যে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু টাকা নিয়ে দৌড়দৌড়ি করতে পারি না বলেই আমাদের কোনও পদ জোটে না।’ একই সঙ্গে চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। কৃষ্ণা দেবী বলেন, ‘যারা নীচু পদের দাবিদার তারা দলের উচ্চ পদ উপভোগ করছে। এটা সত্যিই লজ্জার।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, ‘উনি কী বলেছেন তা আমি শুনিনি। তবে দলের নির্দেশ মেনে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা করার তা করব। উনি তো দলের সব বৈঠকেই ছিলেন। এখন কেন এসব ভিত্তিহীন কথা বলছেন তা আমি জানি না।’ স্বভাবতই দলের পুরোনো নেত্রীর এহেন মন্তব্যে যে চরম অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির, তা বলাই বাহুল্য।