বাংলাহান্ট ডেস্ক: আর এক হপ্তা খানেক পরেই শুরু পুজো (Durgapuja)। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, কেনাকাটা। অনেক জায়গায় ঠাকুর দেখার পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর চারটে দিনের জন্য আমজনতার মতো তারকারাও অপেক্ষা করে থাকেন। কারণ এই কটা দিন কাজ থেকে তো রেহাই পাওয়াই যায়, পাশাপাশি জমিয়ে খাওয়া দাওয়া, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা সবকিছুরই সুযোগ মেলে।
মহালয়ার দিনই ‘শুভ বিজয়া’ জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। আসলে তাঁর এবং কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের (Koushani Mukherjee) নতুন ছবি আসছে। নাম ‘শুভ বিজয়া’। সেই ছবিরই পোস্টার শেয়ার করেছেন বনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন পুজোর প্ল্যানিংও। কবে কী করবেন না করবেন সব।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বনি জানান, পুজোর সময়ে তাঁর কলকাতা ছাড়তে ইচ্ছা করে না। ছোটবেলায় পুজো মানেই ছিল বাবা মায়ের সঙ্গে প্যান্ডেলে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা আর চুটিয়ে খাওয়া দাওয়া। এখনো সেই আমেজটা বজায় রয়েছে বনির কাছে। পুজোয় একটা দিন বাবা, মা পরিবারের জন্যই বরাদ্দ থাকে তাঁর। আরেকটা দিন কাটান বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে।
তবে বাকি দিনগুলোতে ভাগ বসিয়েছেন প্রেমিকা কৌশানি মুখোপাধ্যায়। বাঙালির কাছে পুজো মানেই ফ্যাশন আর পেটপুজো। বনি জানান, অষ্টমী বাদে পুজোয় প্রতিদিনই ক্যাজুয়াল পরতে পছন্দ করেন তিনি। তবে অষ্টমীটা থাকে এথনিকের জন্য। আর পুজোয় পেটপুজো তো অনিবার্য ব্যাপার।
সারা বছর ডায়েটিংয়ের মধ্যে থাকলেও পুজোয় বিরিয়ানি চাইই চাই। ওই কটা দিন ক্যালোরির কথা ভেবে কেউ চিন্তা করেন না। পাশাপাশি সারা বছর বাঙালি খাবার খাওয়া হয় না বলে পুজোর সময়টা খাঁটি বাঙালি খাবারেও রসনা তৃপ্তি করেন বনি।
সব হল আর পুজোয় প্রেম হবে না তা কি হয়? এখন তিনি কৌশানির জন্য নিবেদিতপ্রাণ। কিন্তু তার আগে কি প্রেমে পড়েননি বনি? অভিনেতা স্বীকার করলেন, পড়েছেন। তখন অত বুঝতেন না, তাই প্রতি বছরই অষ্টমীতে কারোর না কারোর প্রেমে পড়তেন বনি। এখন অবশ্য অন্য কোনো দিকে তাকান না তিনি।