বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাস কয়েক আগেই শেষ হয়েছে একুশের বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু লড়াই শেষ হলেও তা নিয়ে বিতর্ক কিন্তু এখনো অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনের আগে আগে বহু টলি তারকারা যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। এরই মধ্যে দুজন কৌশানি মুখোপাধ্যায় (koushani mukherjee) ও বনি সেনগুপ্ত (bonny sengupta)। বিজেপির বনি না পেলেও তৃণমূলের কৌশানি টিকিট পেয়েছিলেন ভোটে লড়ার। কিন্তু তিনি পরাজিত হন।
এবার প্রেমিকার হারের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন বনি। তৃণমূলের টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে ভোটে লড়েছিলেন কৌশানি। প্রতিপক্ষ ছিলেন তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায় (mukul roy)। নিয়মিত প্রচার করেও মুকুলের বিরুদ্ধে গোহারা হারেন কৌশানি। কিন্তু নির্বাচন মিটতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরেন ‘ঘরের ছেলে’ মুকুল। এসবের পেছনেই চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বনি।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বনি বলেন, কৌশানি ও সায়নী প্রচারের পেছনে সবথেকে বেশি সময় দিয়েছিলেন। হার হতে স্বাভাবিক ভাবেই খুব খারাপ লেগেছিল। কিন্তু মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই সবটা স্পষ্ট কীভাবে কী হয়েছিল। কৌশানির সঙ্গে এটা ঠিক করা হয়নি বলেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বনি। তাঁর কটাক্ষ, নির্বাচনের পরেই মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিতে অনেকেরই সন্দেহ হয়েছিল সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। অনেক কিছুই হয়তো ঘটছিল আড়ালে।
বনির কথায় সমর্থন করেছে বিজেপিও। কৌশানির হার ও তার পরপরই মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন এই দুইয়ের মধ্যে যোগাযোগ খুঁজে পাচ্ছে বিরোধী শিবির। তবে পালটা কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলে। বনির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, কৌশানির শুভানুধ্যায়ী যারা সেই সময় পাশে না থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন অথচ এখন দরদ দেখাতে এসেছেন তারা কৌশানির বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছেন।
এই প্রসঙ্গে কৌশানির কী মত? সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, মুকুল রায় এখন তৃণমূলেরই একজন। এটা নিয়ে এখন আর তর্ক করে লাভ নেই। দলের সিদ্ধান্তই তাঁর কাছে চূড়ান্ত। মুকুল রায়ের মতো একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে লড়া তাঁর কাছে গর্বের বিষয় বলেই মন্তব্য করেন কৌশানি।