বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো ইস্তক কপালে সুখ উড়েছে বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। কুন্তল ঘোষের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বনির বিদেশ যাত্রাতেও নাকি টাকা ঢেলেছেন ধৃত তৃণমূল নেতা। এ প্রসঙ্গেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে মঙ্গলবার বনিকে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা।
প্রায় আড়াই ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে বনি বাইরে বেরোতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। কুন্তল ঘোষের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে। বাংলা সিনেমার একজন অভিনেতা কি এই পরিমাণ পারিশ্রমিক নিতে পারেন? বনির গড় গড়িয়ে উত্তর, ‘আমি এখন যে পারিশ্রমিকটা নিই, সেটা ওয়ান অফ দ্য লিডিং মোস্ট হিরো তো। আমি সেটা মেনে নিতে পারি। সেই পারিশ্রমিকটা আমি আর্ন করেছি। এত বছর ধরে খেটে আর্ন করেছি। তাই ওটার উপরে কোনো কথা থাকতে পারে না’।
বনির মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিষম খাওয়ার জোগাড় নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, ‘একে মহানায়ক অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে নিজেকে ধিক্কার, আমি প্রথম সারির অভিনেতার নাম জানি না’। কেউ আবার রসিকতা করে লিখেছেন, ‘ইনি লিডিং মোস্ট হিরো হলে আমি ভগবান’। আবার কারোর কটাক্ষ, ‘ওকে কেউ একটা অস্কার ছুড়ে মার!’
প্রসঙ্গত, এদিন বনি আরো বলেন, ‘ওই সব টাকা আমার দাদা। আর কারোর না’। বিদেশও তিনি নিজের টাকাতেই গিয়েছেন বলে দাবি করেন অভিনেতা। তবে তাঁকে আর ডেকে পাঠানো হবে কিনা তা জানা যায়নি।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা পরিচালক সুখেন দাসের নাতি বনি। মা পিয়া সেনগুপ্ত অভিনয়ে পা রাখলেও পসার জমাতে পারেননি। এখন তিনি ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। ছেলে বনিও টলিউডে আসলেও এখনো পর্যন্ত সেই অর্থে সাফল্য পাননি। পারব না আমি ছাড়তে তোকে, বরবাদ, জিও পাগলা, তোমাকে চাই এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।