বাংলাহান্ট ডেস্ক : মানব সভ্যতার ইতিহাসে বইয়ের (Book) অবদান অনস্বীকার্য। ছোটবেলা থেকে আমরা পরিচিত বইয়ের সাথে। অ আ ক খ, এ বি সি ডি থেকে শুরু করে, গল্প বা উপন্যাসের বই, আমরা সাধারণত বর্গাকার আকারের বই (Book Shape) দেখে বড় হয়েছি। শুধু ভারত নয় সারা বিশ্বেই বইয়ের আকার বর্গাকার। তবে আপনাদের মনে কখনো প্রশ্ন এসেছে কেন সব সময় বই বর্গাকার হয়? গোলাকার বা ত্রিভুজাকার বই (Book) কেন হয় না, তার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। আজ জেনে নেব সেই বিষয়ে।
কেন বই (Book) বর্গাকার হয়?
• সহজে পড়া যায় : বর্গাকার বই সহজে পড়া যায়। যখন আমরা বই পড়ি তখন সাধারণত আমরা একটি হাতে বইটিকে ধরে থাকি ও অন্য হাত দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাই। বইয়ের আকার বর্গাকার হলে এই কাজটি অনেক সহজ হয়ে ওঠে।
• সংরক্ষণ করা সহজ : অন্যান্য আকৃতির বস্তুর তুলনায় বর্গাকার বস্তু সংরক্ষণ করা অত্যন্ত সহজ। তাই বইয়ের আকার বর্গাকার হলে সেটা সহজেই স্টোরেজ করা যায়। অল্প জায়গায় অধিক পরিমাণ বই রাখা যায় তার ফলে। এছাড়াও বর্গাকার বই সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
আরোও পড়ুন : আর মাত্র ১ দিন! বড়সড় বদল আসছে UPI লেনদেনে! উপকৃত হবেন দেশবাসী, নয়া আপডেট জানেন তো ?
• উৎপাদন ক্ষমতা : সাধারণত বর্গাকার আকারে উৎপাদিত হয়ে থাকে কাগজ। তাই বই কাটা ও বাঁধাইয়ের সময় অনেকটাই কম লাগে। এছাড়াও বর্গাকার বই বেশি পরিমাণ উৎপাদন করা সম্ভব হয় কম সময়ে। তাই অর্থনৈতিক দিকটিও প্রসিদ্ধ হয়।
• ঐতিহাসিক দিক : প্রাচীনকালে হাতে লেখা বই বর্গাকার হত। বর্গাকার পৃষ্ঠায় লেখা অনেক সহজ। তখন থেকেই প্রচলিত রয়েছে বর্গাকার বই।