আজও দেখলে দেশপ্রেমে ভরে ওঠে মন, ব্লকবাস্টার হিট ‘বর্ডার’এর সাফল্যে তবুও বিরক্ত হয়েছিলেন পরিচালক

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশাত্মবোধক (Patriotic Film) বিষয়বস্তু নিয়ে বলিউডে যেকটি ছবি তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে অগ্রগণ্য হবে ‘বর্ডার’ (Border)। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু ২৬ বছর পরেও যেকোনো সুপারহিট ছবিকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বর্ডার।

সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল ছবিটি। জোর করে দেশপ্রেমের উসকানি নয়, ছবির বিষয়বস্তু এবং অভিনেতা অভিনেত্রীদের বাস্তবসম্মত অভিনয় আপনা থেকেই মন ছুঁয়েছিল দর্শকদের। আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হয়েছিল ছবিটি আর বক্স অফিসে আয় ছিল ৩৯.৪৫ কোটি টাকা।

border

 

বর্ডার মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়েছিল দর্শক। এমনকি ছবিটি এতটাই প্রভাব ফেলেছিল সকলের মনে যে ভারত-পাক যুদ্ধের দৃশ্যে সিনেমা হলের সিটের উপরে উঠে লাফালাফি শুরু করে দিয়েছিলেন দর্শকরা। অনেক হলের সিট মেরামতও করতে হয়েছিল এ জন্য। কিন্তু এই বাঁধভাঙা সাফল্য, এত উচ্ছ্বাস সত্ত্বেও খুশি ছিলেন না শুধুমাত্র একজন মানুষ। তিনি বর্ডার ছবির পরিচালক জে পি দত্ত।

বলিউডে দেশাত্মবোধক ছবি পরিচালনার জন্য জনপ্রিয় জে পি দত্ত একেবারেই নাখুশ ছিলেন বর্ডার এর সাফল্য দেখে। এমনকি প্রকাশ্যে মনের ভাবও ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। কিন্তু যে ছবি তিনি নিজে বানিয়েছেন তার সাফল্য দেখে কষ্ট পাওয়ার কারণ কী ছিল?

পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি মুখ খুলেছিলেন এ বিষয়ে। জে পি দত্ত বলেছিলেন, বর্ডারের সাফল্য তাঁর কাছে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আসলে এই ছবিটি নিয়ে এতটাই মাতামাতি হয়েছিল যে তাঁর পরিচালিত অন্য ছবিগুলির খ্যাতি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল।

সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেছিলেন, বর্ডার নিয়ে এত মাতামাতি হয়, অথচ ‘এলওসি: কার্গিল’ ছবিটি তৈরিতে আরো বেশি পরিশ্রম লেগেছিল তাঁর। সর্বোপরি ছবিটি তৈরির আগে তিনি যুদ্ধে স্বজনহারা, শহিদ জওয়ানদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এর পরেও অনিচ্ছাসত্ত্বেও ছবিটির দৈর্ঘ্য ৪ ঘন্টা থেকে কমিয়ে তাঁকে ৩ ঘন্টা করতে হয়েছিল। এত খাটার পরেও যখন এলওসি কার্গিল নিয়ে কথা বলার সময়ে মানুষ বর্ডার বর্ডার করে তখন তাঁর বাস্তবিকই দুঃখ হয়।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর